• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ছদ্মবেশে গাজীপুর ও নীলফামারীর হাসপাতালে দুদকের অভিযান

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪  

চিকিৎসাসেবায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এবার ছদ্মবেশে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল ও নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযানে মাইক্রোবাস ক্রয়, ভর্তিকৃত রোগীদের খাবার, ঔষধপত্র সরবরাহ এবং আউটসোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগে দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক টিম।

এর আগে গতকাল একই অভিযোগে ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরের ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আলাদাভাবে অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট টিম।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুদকের গাজীপুর ও রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় হতে অভিযান পরিচালিত হয়।

জানতে চাইলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক টিম।

দুদক সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজের নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে  হাসপাতালের মরদেহ পরিবহনকারী গাড়ি ক্রয়ের পরিবর্তে মাইক্রোবাস ক্রয়, ভর্তিকৃত রোগীদের খাবার, ঔষধপত্র সরবরাহ এবং আউটসোর্সিং এ জনবল নিয়োগসহ অন্যান্য খাতে টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সংশ্লেষে প্রাথমিক রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।

এছাড়া শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্পে আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি ও জমি ক্রয়সংক্রান্ত অভিযোগেরও প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক টিম। সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ড সংগ্রহ ও যাচাইপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক টিম।

অন্যদিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগের দুদকের রংপুর এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে দুদক টিম ছদ্মবেশে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এবং আগত সেবাগ্রহীতাদের নিকট হতে সেবার মানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। হাসপাতালের হাজিরা খাতা ও বায়োমেট্রিক হাজিরা পর্যালোচনায় এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও অন্যান্যদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটছে বলে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে জনসংযোগ দপ্তর।