• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

জৈব জ্বালানির অন্যতম উৎস সিগারেটের ফিল্টার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৪  

প্রতিনিয়ত বিশ্বজুড়ে চলছে কার্যকর, নবায়নযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব শক্তির খোঁজ। অনবায়নযোগ্য উৎস থেকে মানুষের নির্ভরতা কমিয়ে টেকসই, নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
জ্বালানির এমনই এক পরিষ্কার উৎস হল বায়োডিজেল। বায়োডিজেল বা জৈব জ্বালানি পরিবেশবান্ধব। ভোজ্য ও অভোজ্য তেল, পশুর চর্বি এবং রেস্তোরাঁর বর্জ্যের মতো জৈবিক উপাদান থেকে তৈরি হয় এই বায়োডিজেল। তবে বায়োডিজেলের দাম অনেকটা বেশি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধান হলো সিগারেট। মূলত সিগারেটের বাড বা ফিল্টার, অর্থাৎ ধূমপানের পর যে অংশটা ফেলে দেওয়া হয়।

সিগারেটের ফিল্টারকে এতদিন পরিবেশ দূষণকারী বলেই বিবেচনা করা হতো। এখন সেই সিগারেটের ফিল্টারকেই বলা হচ্ছে বায়োডিজেলের অন্যতম উৎস। লিথুনিয়ার একদল গবেষকের গবেষণার ফল এটি। সিগারেটের ফিল্টার থেকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

গেল নভেম্বরে গবেষণাটি চালানো হয়। গবেষণার ফলাফল জার্নাল অব অ্যানালিটিকাল অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড পাইরোলিসিসে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণার প্রধান লেখক সামি ইউসেফ বলেন, গবেষণায় আমরা পুনর্ব্যবহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কাজ করছি। তাই আমরা সবসময় বর্জ্য পদার্থের সন্ধান করি। সিগারেট তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরি। তামাক, কাগজ এবং সেলুলোজ অ্যাসিটেট ফাইবার দিয়ে তৈরি একটি ফিল্টার। অনেক সংস্থা সিগারেটের বাট সংগ্রহ করে। তাদের থেকে এই বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে আমরা গবেষণা চালাই।

ইউসেফ আরো জানিয়েছেন, পাইরোলিসিস প্রক্রিয়ায় ৬৫০, ৭০০ এবং ৭৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তারা সিগারেটের বাটগুলো তাপীয় পদ্ধতিতে পচিয়েছিলেন। বেশ কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর তারা বুঝতে পারেন, ৭৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৪৩ শতাংশ ট্রায়াসিটিনের এক যৌগ উৎপন্ন হয়। এ যৌগই খরচ কমাতে বায়োডিজেলের সংযোজন হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব।