• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

যে আমলে অভাব দূর হয়

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২০  

আমরা সবাই সফল হতে চাই। জীবনকে সুখময় করতে আমরা কত কিছুই না করি। কিন্তু সুখপাখি সারা জীবন অধরাই থেকে যায়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য এমন জীবনব্যবস্থা রেখে দিয়েছেন, যা মানুষকে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির পথ বাতলে দিয়েছে। কিন্তু আমরা কোরআন থেকে বহু দূরে থাকার কারণে তা কখনোই বুঝতে পারি না।

দুনিয়াতে সফলতা অর্জনের একটি গোপন রহস্য হলো, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে তাঁর প্রিয় বান্দাদের সুসম্পর্ক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘(তারাই বিবেকবান) আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ দিয়েছেন, যারা তা অক্ষুণ্ন রাখে এবং তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, আর ভয় করে কঠোর হিসাবকে।’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ২১)

উল্লিখিত আয়াতে বলা হয়েছে, বিবেকবান ঈমানদাররা আত্মীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নবান হয়। পাশাপাশি তারা সার্বিক বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে। এই ভয় উত্সারিত হয় সম্মান, জ্ঞান, ভক্তি ও ভালোবাসা থেকে। তাদের কাছে প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই মুখ্য হয়ে থাকে। বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ অনুকূল-প্রতিকূল সব পরিস্থিতিতে পরকালের জবাবদিহির ভয় করে। আল্লাহর ভয় ও পরকালে জবাবদিহির ভয় মানুষকে বিশ্বাস ও বিবেক নির্দেশিত পথে পরিচালিত করে।

এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ তাদের দুনিয়া-আখেরাতে যেমন সম্মানী করেন, তেমনি তাদের হায়াত ও রিজিকেও বরকত দান করেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমি নবী করিম (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তার রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫)

সাধারণত রক্ত, বংশ কিংবা বৈবাহিক সূত্রে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। অনেক সময় বন্ধুত্ব থেকেও আত্মীয়তার মতো সম্পর্ক তৈরি হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা আত্মীয়তার সম্পর্ক থেকেও গভীর হয়। ইসলামের বিধান অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যাবশ্যকীয়। মহান আল্লাহ আমাদের উপার্জনের কিছু অংশে আত্মীয়-স্বজনের হক রেখে দিয়েছেন। যা তাদের দিয়ে দেওয়ার জন্য স্পষ্ট ভাষায় আদেশ করেছেন। পাশাপাশি এই কাজটি সফলতার সূত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব আত্মীয়-স্বজনকে তাদের হক দিয়ে দাও এবং মিসকিন ও মুসাফিরকেও। এটি উত্তম তাদের জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ৩৮)

অতএব, আমরা যারা জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাই, আর্থিক সচ্ছলতা আনতে চাই, তাদের অবশ্যই মহান আল্লাহর এই বিধানকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর রাখতে হবে। কেউ কষ্টে থাকলে অবশ্যই তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। ইনশাআল্লাহ, এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ আমাদের সব অভাব দূর করে দেবেন।