• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

৯১’র ঘূর্ণিঝড়ে ব্যর্থতায় কেড়ে নিয়েছিল দেড় লাখ মানুষের প্রাণ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২০  


গত দুইদিনে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেলো প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আম্পান। তবে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দক্ষতায় এতে দেশের মানুষের জান-মালের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের হাত থাকে না। কিন্তু একটি দেশের সরকারের দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ থাকলে এসব দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়। আর সরকার যদি হয় দায়িত্বহীন তবে মানুষকে তার জন্য দিতে হয় চরম মূল্য।

যেমন করে ১৯৯১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের ব্যর্থতায় এক ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের দেড় লক্ষাধিক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। সে সময় বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মরেনি।’দেড় লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর পর সংসদে দাঁড়িয়ে এই ছিল বক্তব্য। নিজের সাজসজ্জা ঠিক রাখতে সেই ঘূর্ণিঝড়ের পরদিনও সাতবার শাড়ি বদল করেছিলেন বিএনপির এই নেত্রী।

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের সময় আগাম কোন ঘোষণা বা প্রস্তুতি না থাকার কারণেই এই লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু, জমির ফসল সব পানিতে ভেসে গিয়েছিল। তখনও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে টিম নিয়ে দুর্গত এলাকায় গিয়েছিল। মানুষের দাফনের ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছিল।

এবারও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একই দক্ষতা দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। আম্পান শুরু হওয়ার আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি থাকায় মানুষের জান-মালের তেমন ক্ষতি হয়নি। অথচ সেই বিএনপি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে!

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, বিএনপি সরকারের অব্যবস্থাপনার চরম মাশুল সেদিন গুণতে হয়েছিল দেশের সশস্ত্র বাহিনীকেও। ঘূর্ণিঝড়ে যে কেবল মানুষের প্রাণহানি ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছিল তা নয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিভিন্ন অবকাঠামো এবং যন্ত্রপাতির। এরমধ্যে ছিল চট্টগ্রাম বন্দর, বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান এবং নৌবাহিনীর জাহাজ। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর অধিকাংশ যুদ্ধবিমান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

সাবেক এক নৌবাহিনী কর্মকর্তা জানান, সেদিন রাশিয়া থেকে সদ্য আমদানিকৃত চারটি বাক্স ভর্তি হেলিকপ্টার জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ভেসে রাস্তার উপর চলে আসে। এ হেলিকপ্টারগুলো ৫০০ গজ দুরে তালাবদ্ধ অবস্থায় হ্যাঙ্গারে ছিল। পানি ও বাতাসের চাপে হ্যাঙ্গার ভেঙে গিয়েছিল। নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিমান বাহিনীর ক্ষতি প্রচুর ছিল। বিমানবাহিনীর ৩০-৩৫টার মতো যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ দুই বাহিনীর শতশত কোটি টাকার সরঞ্জাম নষ্ট হয়। এসবই সরকারের অবহেলার কারণে হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড়ের অনেক আগে থেকেই আন্তর্জাতিক আবহাওয়া কেন্দ্রগুলো সতর্কতা দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। তখন থেকে এর জন্য কোনও প্রস্তুতি নেয়নি খালেদা জিয়া সরকার।

ঘূর্ণিঝড়টি এক লাখ চল্লিশ হাজার মানুষের প্রাণ নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ উপকূলজুড়ে। প্রায় এক কোটি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। এসব আশ্রয়হীন মানুষের জন্যও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি তৎকালীন সরকার। বলা হয়ে থাকে, এ কারণেই ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছিল।