• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ

ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়া দায়ী নয়: পুতিন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২২  

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মনে করেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়া দায়ী নয়। একটি ট্র্যাজেডির শিকার উভয় দেশ। বুধবার রাশিয়ার সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ভাষণে পুতিন বলেছেন, তিনি এখনও ইউক্রেনকে একটি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করেন।

তিনি দাবি করেছেন, এই সংঘাত তৃতীয় পক্ষ দেশগুলোর নীতির ফল এবং রাশিয়ার নীতির কারণে এমনটি ঘটেনি।

পুতিন যে নীতির কথা বলছেন সেটি হলো রাশিয়াকে ঘিরে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সম্প্রসারণ। তবে রাশিয়ার এই বিষয়ে উদ্বেগ পশ্চিমারা উড়িয়ে দিয়েছে একাধিকবার।

পুতিন দাবি করেছেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনসহ সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর ব্রেনওয়াশ করছে। তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে ভালো প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। তাদেরকে ঋণ ও সস্তায় জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু তা কাজে আসেনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের অভিযুক্ত করার মতো কিছু নেই। আমরা সব সময় ইউক্রেনীয়দের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ মানুষ হিসেবে দেখেছি এবং আমি এখনও তা ভাবি। এখন যা ঘটছে তা একটি ট্র্যাজেডি। কিন্তু আমরা এজন্য দায়ী না।

সামরিক কর্মকর্তাদের প্রতি দেওয়া ভাষণে পুতিন অঙ্গীকার করেছেন রাশিয়ার তথাকথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ২০২৩ সালেও অব্যাহত রাখার।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে মোতায়েন করা রুশ সেনাবাহিনীর সব ধরনের প্রয়োজনীয়তা মেটানো হবে। সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে রুশ সরকারের কোনও আর্থিক সীমা নেই।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু প্রস্তাব দিয়েছেন, রুশদের বাধ্যতামূলক সামরিক সেবার বয়স বৃদ্ধির জন্য। বর্তমান রুশ আইন অনুসারে, ১৮-২৭ বছর বয়সীদের বাধ্যতামূলক সামরিক সেবার জন্য তলব করা যাবে। শোইগু প্রস্তাবে ২১-৩০ বছর বয়সীদের কথা বলা হয়েছে।

ইউক্রেনে দখলকৃত বারদিয়ানস্ক ও মারিউপোল শহরে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন শোইগু ।

এমন সময় পুতিন ও শোইগু ভাষণ দিলেন যখন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। ১০ মাস আগে যুদ্ধ শুরুর পর  জেলেনস্কির এটিই প্রথম বিদেশ সফর।