• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৩  

প্রতিটি বাড়ির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে টেলিভিশন। এটি সমস্ত বয়সের জন্য তথ্য, বিনোদন এবং ইনফোটেইনমেন্টের জন্য একটি ডিভাইস। শিশুদের জন্য কার্টুন  থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য টিভি শো, সংবাদ এবং সিনেমা সব মিলিয়ে টেলিভিশন একটি পরিবারের কেন্দ্রবিন্দু, এবং এটি যুগ যুগ ধরে একইরকম ভাবে গুরুত্বপূর্ণ সবার কাছে।
আজ ২১ নভেম্বর, বিশ্ব টেলিভিশন দিবস। ১৯২৬ সালের ২১ নভেম্বর প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন লগি বেয়ার্ড। ব্রিটিশ এই বিজ্ঞানীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত এক ফোরামে দিনটিকে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে পালনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে টেলিভিশন অনেক উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে গেছে, তবে এটি বর্তমান যুগে এখনও প্রাসঙ্গিক। অনুষ্ঠানের ধরণ, দর্শকদের দেখার ধরণ এবং তথ্য উপস্থাপনা সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর ক্ষেত্রেও বিশাল পরিবর্তন হয়েছে।

টেলিভিশন আবিষ্কারের পর রুশ বংশোদ্ভুত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবারগের কৃতিত্বে ১৯৩৬ সালে প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে বিবিসি। আর বাণিজ্যিক ভাবে টেলিভিশন চালু হয় ১৯৪০ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টেলিভিশনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সূচিত হয়।

পঞ্চাশের দশকে টেলিভিশন গণমাধ্যমের ভূমিকায় উঠে আসে। বাংলাদেশ টেলিভিশন আসে ১৯৬৪ সালে। ঐ বছরের ২৫ ডিসেম্বর সাদা-কালো সম্প্রচার শুরু করে। ১৯৮০ থেকে শুরু হয় রঙিন সম্প্রচার। বর্তমানে সরকারি টেলিভিশন হিসেবে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও সংসদ টিভি চালু রয়েছে। এছাড়া দেশে ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশন অনুমোদন পেয়েছে, যার মধ্যে ৩৫টি সম্প্রচারে রয়েছে।

প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অসহায়ের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে একুশ শতকে পুরো বিশ্বে টেলিভিশনকেই সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রযুক্তির উৎকর্ষে ও সময়ের দাবিতে বাংলাদেশেও গণমাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে টেলিভিশন। প্রতিদিনের খবরাখবর ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এখন টেলিভিশনের গুরুত্ব অপরিসীম। টেলিভিশনকেই তথ্য-বিনোদনের প্রধান উৎস বলে বিশিষ্টজনরা মনে করেন।