• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ

হিমালয়ের দুর্গম ফার্চামো চূড়ায় বাংলাদেশের মুহিত-বিপ্লব

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২৩  

বাংলাদেশের দুই অভিযাত্রী এম এ মুহিত এবং কাজী বিপ্লব নেপালে হিমালয়ের ২০ হাজার ৩০০ ফুট উঁচু দুর্গম চূড়া ‘ফার্চামো’তে সফলভাবে আরোহণ করেছেন।

গত ৩ নভেম্বর সকাল ৯টায় ‘ফার্চামো’ পর্বতচূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেন তারা।

অভিযাত্রী দলের আরেক সদস্য নুরুননাহার নিম্নি অসুস্থতাজনিত কারণে আরোহণ সম্পন্ন করতে পারেননি।
অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত বলেন, ২৬ অক্টোবর আমরা রামেছাপ এয়ারপোর্ট থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে প্লেনে চড়ি। ওইদিনই আমরা পৌঁছাই এভারেস্ট অঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত হিলারি তেনজিং এয়ারপোর্টে। যেটি একইসঙ্গে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক বিমানবন্দর হিসেবেও কুখ্যাত। ওইদিন আমরা ট্রেকিং শুরু করি। বিকেলে পৌঁছাই মঞ্জো। ২৭ অক্টোবর আমরা যাই নামচে বাজার। পরদিন ২৮ অক্টোবর ছিল বিশ্রাম। ২৯ অক্টোবর পৌঁছাই থামে। ৩০ অক্টোবর ছিল বিশ্রামের। ৩১ অক্টোবর যাই থ্যাংবো। ১ নভেম্বর আমরা চার হাজার ৮০০ মিটার উঁচু বেজক্যাম্প পৌঁছাই। ২ নভেম্বর আমরা ৫ হাজার ৭০০ মিটার উঁচু তাশি ফুক হাই ক্যাম্পে যাই। হাইক্যাম্প থেকে ১০০ মিটার নিচে দলের এক সদস্য নিম্নির শরীর খারাপ লাগা শুরু হয়। প্রধান শেরপা দাওয়া তেনজিং তাকে নিয়ে ফিরে যান। চিরিং ওয়াংচু শেরপা, ফুর কাঞ্চা শেরপা আমাদের নিয়ে হাই ক্যাম্পে যান। হাইক্যাম্প পৌঁছাতে দুপুর হয়ে যায়। দিবাগত রাতে অর্থাৎ ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় হেডটর্চের আলোয় আমরা চূড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আধা ঘণ্টা পর ক্র্যাম্পন পয়েন্টে পৌঁছাই। ওই সময় তেমন বাতাস ছিল না। মেইন রোপে দেড় ঘণ্টা থাকি। তাশি লাপচা পাসকে ডানে রেখে আমরা এগিয়ে যেতে থাকি। দিগন্তে ভোরের লাল আভা দেখার সময় ফ্রিক্সড রোপে আমরা জুমার লাগিয়ে আরোহণ শুরু করি। তিনটি কঠিন জায়গায় ১০০ মিটার দড়ি লাগানো ছিল। সে জায়গাগুলো ৮০ থেকে ৯০ ডিগ্রি খাড়া ছিল। ৬টার সময় জুমার শুরু করি যা শেষ হয় সকাল ৯টার দিকে সামিটে পৌঁছে। চূড়ায় আমরা উড়িয়ে দেই বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা।

চূড়া আরোহণের পরবর্তী সময়ের বর্ণনায় মুহিত বলেন, পা রাখার আগেই প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়। চূড়ায় ১৫ মিনিটের মতো ছিলাম। মনে হচ্ছিল সব জমে যাবে। হাইক্যাম্পে আসতে আসতে পৌনে ১১টা বেজে যায়। ওইদিনই বেজক্যাম্প হয়ে বিকেল ৫টায় থ্যাংবো চলে আসি।