• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নতুন বরাদ্দে প্রাণ ফিরেছে ডিএনডির মেগাপ্রকল্পে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে ধানের অধিক ফলনের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৬২ সালে তৈরি করা হয়েছিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধ। পরে এই বাঁধের ভেতরে পর্যায়ক্রমে অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি ও শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। একটা সময়ে এসে প্রায় ২২ লাখ জন-অধ্যুষিত এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ডিএনডি বাঁধ জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পানি নিষ্কাশনের খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় কৃত্রিম বন্যা পরিস্থিতি থাকে বছরজুড়ে।

ডিএনডি বাঁধের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীন ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে এরই মধ্যে দখল করা ৯৪ কিলোমিটার খালের মধ্যে ৮৯ কিলোমিটার উদ্ধার হয়েছে। খালের ওপর নির্মিত ৬৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা উচ্ছেদের কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে। কিন্তু বরাদ্দ ৫৫৮ কোটি টাকায় প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ করা সম্ভব ছিল না। ফলে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষে প্রকল্পটি অসমাপ্ত অবস্থায় থেমে যায়।

ডিএনডি প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়নে গত ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আরো ৭৪১ কোটি ৭১ লাখ টাকা বরাদ্দ করায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মেগাপ্রকল্পটি। তবে প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে টেলিফোন, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংশ্লিষ্ট চারটি সংস্থাকে সহযোগিতার অনুরোধ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, দ্বিতীয় মেয়াদে বরাদ্দ আনতে জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের ডিএনডির সমস্যা সমাধানে নতুন বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরার আহ্বান জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। পরে প্রকাশিত সংবাদের কপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ করেন সংসদ সদস্য ও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্তারা। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বরাদ্দ আসায় প্রকল্পটি পুনরায় গতি পাচ্ছে। সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি ডিএনডিবাসী।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কালের কণ্ঠকে জানান, নতুন বরাদ্দ আসায় প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। তবে প্রকল্প এলাকায় কাজ করতে গিয়ে নানামুখী প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। টেলিফোন, পানি, বিদ্যুৎ, তিতাস গ্যাসসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার সার্ভিস লাইন রয়েছে। কোনো স্যুয়ারেজ লাইন নেই। অবৈধ স্থাপনা এবং মানুষের অসচেতনতা তো আছেই। প্রথম পর্যায়ে ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, এ বছর অতিবৃষ্টি বা বন্যায়ও ডিএনডিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি।

সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘ডিএনডির সমস্যার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এখানে আমি চেষ্টা করেছি। তবে আমি চেষ্টা না করলেও প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বিষয়টি জেনেছেন, তাই জনদুর্ভোগ লাঘবে তিনি এমনিতেই পদক্ষেপ নিতেন। এ ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পরিকল্পনা পরিষদ সচিব জাকির হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ভূমিকা পালন করেছেন।’