• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

জ্বালানি তেল খালাসে আসছে যুগান্তকারি পরিবর্তন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২৪  

জুনের মধ্যেই সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং-এসপিএম প্রকল্পটি বিপিসির কাছে হস্তান্তর করবে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ। এতে দ্রুত সময়েই জ্বালানি তেল খালাস করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী হবে সরবরাহ ব্যবস্থাও। এসপিএমের সক্ষমতা ও পরিধি বাড়াতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বিপিসি চেয়ারম্যান। গুরুত্ব বাড়ছে ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট বাস্তবায়নেরও।

গভীর সমুদ্র থেকে জ্বালানি তেল খালাসে আসছে যুগান্তকারি পরিবর্তন। এখন যে পরিমাণ তেল খালাসে ১২ দিন লাগে, একই পরিমাণ তেল সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বা এসপিএমে খালাস হবে ৪৮ ঘন্টায়।

ইতোমধ্যে স্থল থেকে গভীর সমুদ্র পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারের মহেশখালীতে নির্মিত পাম্প স্টেশন অ্যান্ড ট্যাঙ্ক ফার্মের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন।

সাগর থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেল মহেশখালী থেকে পাইপলাইনে আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত ইস্টার্ন রিফাইনারীতে পৌঁছেছে।

এসপিএমের মাধ্যমে প্রতি বছর ৯০ লাখ টন তেল আনলোড করা যাবে। মহেশখালীর প্রতিটি ৬০ হাজার কিলোলিটার ধারণ-ক্ষমতার তিনটি ট্যাংক অপরিশোধিত তেল ও প্রতিটি ৩৬ হাজার কিলোলিটার ধারণ-ক্ষমতার আরও তিনটি ট্যাংক ডিজেল সংরক্ষণ করবে।

তবে ইস্টার্ন রিফাইনারীর সীমাবদ্ধতার জন্য এসপিএমের পুরো সক্ষমতা কাজে লাগানো যাবে না, বলছেন প্রকল্প পরিচালক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে জ্বালানি মজুদের সক্ষমতা বাড়বে। সরবরাহ ব্যবস্থাও হবে শক্তিশালী। এ ক্ষেত্রে ইস্টার্ন রিফাইনারির ২য় ইউনিট দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়া জরুরি বলছেন তারা।  

সামগ্রিকভাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার, জানালেন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান।

বিপিসি চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান বলেন, “ইআরএন-২’র একটা প্রকল্পের ইতোমধ্যে ফিজিবল স্ট্রাডি হয়েছে এবং এটা চলমান আছে। পাশাপাশি তেল পরিশোধনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আরেকটি জয়েন্ট বেন্সার অ্যাফোর্টও আলোচনায় চলছে। আমরা চাই, যতো তাড়াতাড়ি পাড়া যায় ইআরএল’র ক্ষমতা বৃদ্ধি করার।”

এসপিএম প্রকল্পকে বাণিজ্যিক অপারেশন আনতে শিগগিরই একটি চুক্তি হবে বলেও আশা করেন তিনি।

বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুত এসপিএম কর্তৃপক্ষ। আর এক্ষেত্রে ইস্টার্ন রিফাইনারি-২ ইউনিট যদি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় সেক্ষেত্রে এসপিএম বাণিজ্যিকভাবে পুরোপুরি সফল হবে, বলছেন কর্তৃপক্ষ।