• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ

সহকর্মীকে অ্যাসিডে ঝলসে গা ঢাকা, ২৪ বছর পর গ্রেফতার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২২  

চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এলাকায় সহকর্মীকে অ্যাসিডে ঝলসে গা ঢাকা দেওয়ার ২৪ বছর পর আসামি কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (১ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এম এ ইউসুফ। গ্রেফতার কামাল হোসেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার কাউনিয়া গ্রামের রসুল করিমের ছেলে। শনিবার তাকে ডবলমুরিং থানায় সোপর্দ করা হয়।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ জাকারিয়া নামে কোরআনের একজন হাফেজ পড়ালেখার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হতে আগ্রাবাদ এলাকায় দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের ফ্রিজ মেরামতের দোকানে কাজ নেন। ওই দোকানে আসামি কামালও কাজ করতেন। জাকারিয়ার কাজে সবাই খুশি থাকায় কামাল জাকারিয়ার প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে জাকারিয়ার সঙ্গে কামালের তর্ক-বিতর্ক ও ঝগড়া হতো। একপর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অ্যাসিড দিয়ে জাকারিয়ার চোখে, মুখে, বুকে, হাতে ঝলসে যায়। অ্যাসিড নিক্ষেপের পরও মৃত্যু নিশ্চিত করতে কামাল দিয়াশলাই দিয়ে জাকারিয়ার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান।

পরে ডবলংমুরিং থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জাকারিয়াকে মৃত মনে করে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ডিউটিরত প্রহরী জাকারিয়ার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে লক্ষ্য করলে তাকে দ্রুত পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে জীবনে বাঁচলেও জাকারিয়ার এক চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়, চোখের পাপড়ি ঝলসে যায় এবং মুখে, বুকে ও হাতে অ্যাসিডে ঝলসে যায়। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর জাকারিয়ার মোটামুটি সুস্থ হয়ে সৌদি আরব চলে যান।

ওই ঘটনার পর ১৯৯৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাকারিয়ার বাবা মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত আসামি মো. কামালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।