• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

মেট্রোরেল ডিপোর ভূমি উন্নয়নে সাশ্রয় ৭০ কোটি টাকা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২  

বুধবার স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ জাপানের কারণে। শুধু অর্থায়নই নয়, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ সাশ্রয়ও করেছে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান।

মেট্রোরেল প্রকল্পের শুরুতে প্যাকেজ-১ এর আওতায় করা হয় ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়নকাজ। ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয় এই কাজ। চলতি বছর এ কাজের শতভাগ শেষ হয়েছে। এই কাজে ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা সাশ্রয় করেছে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। এ কাজে মোট ব্যয় ধরা হয় ৫৮০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা সাশ্রয় করেছে কোম্পানিটি। সাশ্রয় হওয়া টাকা সরকারকে ফেরত দিয়েছে জাইকা।

প্রকল্পের সাশ্রয় হওয়া অর্থ অন্যান্য প্যাকেজে ব্যয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। মেট্রোরেল প্রকল্পটি মোট আটটি প্যাকেজে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। অস্ত্রের মুখে তারা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। সেদিন জঙ্গিরা ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এর মধ্যে সাতজন জাপানি নাগরিক। এসব নাগরিক মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন।

মেট্রোরেল সম্পর্কে জনসাধারণকে সম্যক ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা ডিপো এলাকায় মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এই এক্সিবিশন সেন্টার নিহত সাত জাপানি নাগরিকের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। নিহত সাত জাপানি নাগরিক মেট্রোরেল নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা মেট্রোরেল প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসানে অন্যান্যের মতো জাপানি নাগরিকরাও খেতে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দুইজন ছিলেন নারী। তারা মেট্রোরেলের সমীক্ষা কাজের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা নিয়েও গবেষণা করছিলেন। ওই প্রকৌশলীরা হলেন- তানাকা হিরোশি, ওগাসাওয়ারা, শাকাই ইউকু, কুরুসাকি নুবুহিরি, ওকামুরা মাকাতো, শিমুধুইরা রুই ও হাশিমাতো হিদেইকো। হলি আর্টিসানের মর্মান্তিক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। স্তম্ভিত হয়ে যায় বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব।

এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ঋণ ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির প্রাথমিক মেয়াদকাল ছিল ১ জুলাই ২০১২ থেকে ৩০ জুন ২০২৪। তবে কাজ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্প শেষ করতে সময় লাগবে আরও এক বছর ছয় মাস। সেক্ষেত্রে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে।

সবশেষে নির্দ্বিধায় বলা যায়, আমাদের স্বপ্নের এই মেট্রোরেল বাস্তবায়নে অন্যতম কৃতিত্ব জাপানের। বিশাল এ কর্মযজ্ঞের অর্থের জোগান, অর্থ সাশ্রয় করে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে দেশটি। একই সঙ্গে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সাত জাপানি নাগরিকের রক্তদানও স্মরণ করিয়ে দেয় বাংলাদেশের প্রতি তাদের বন্ধুত্বের নির্দশন।