• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

২২ বছর পেরিয়ে পার্বত্য চুক্তির প্রত্যাশা-প্রাপ্তি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০১৮  

 

উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, শংকা, রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংঘাতের দীর্ঘ বছরের অস্থিতিশীল পরিবেশের বলয় থেকে প্রায় বেরিয়ে এসে পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আছে  শান্তি ও উন্নয়নের পথে। পাহাড়ে বদলে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা। লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ভয়ে আসতে না চাওয়া দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এখন এ জনপদ। আর সব হয়েছে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তির কারণে।

২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২১ বছর পূর্তি। পদার্পন করছে ২২ বছরে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে ১৯৯৭ সালের এই দিনে সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মূলত জল বিদ্যুতের নামে কাপ্তাই বাঁধ তৈরি, রাজনৈতিকভাবে বাঙালি পুনর্বাসনসহ নানা কারণে পাহাড়ে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেছিল জেএসএস। এরপর প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলে সশস্ত্র সংগ্রাম। এতে অসংখ্য মানুষ হতাহত হন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তি সম্পাদিত হয়।
 
সরকারের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অধিবাসীদের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠনিকভাবে অস্ত্র সমর্পণ করেন সন্তু লারমাসহ ১ হাজার ৯শ’ ৬৮ জন শান্তি বাহিনীর সদস্য।

বান্দরবান জনসংহতি সমিতির সভাপতি উসোমং মারমা বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতা দরকার। ২২ বছর পরও আমাদের পার্বত্য চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সরকার ক্ষমতায় আসুক, আমাদের দাবি থাকবে দ্রুত চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপিত এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি চুক্তি করেছিলেন। চুক্তি বাস্তবায়নে প্রধান অন্তরায় জেএসএস এবং ইউপিডিএফ। এই দুই দলের সন্ত্রাসবাদ, সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায় চুক্তি বাস্তবায়ন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার আন্তরিক হলেও পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এখনো কমেনি। শান্তি চাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে।

শান্তি চুক্তির ২২ বছরে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পুলিশ বিভাগ। আজ অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর হবে। দুই দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হবে। বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হবে।