• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মহামারির মধ্যেও ২ কোটি নতুন বই পাচ্ছে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২০  

করোনা মহামারির মধ্যেও নতুন বছরের শুরুতে চট্টগ্রামের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ২৯৮ জন শিক্ষার্থীকে ২ কোটি ৩৭ হাজার ৭৩৬টি নতুন বই দিচ্ছে সরকার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিবছরের মতো এবার ১ জানুয়ারি স্কুলে স্কুলে বই উৎসব না হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের হাতে এসব নতুন বই তুলে দেওয়া হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এবং জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসের তত্বাবধানে চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ৫ হাজার ৭২৯ জন শিক্ষার্থীকে ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৯টি নতুন বই দেওয়া হবে।

অন্যদিকে ইংরেজি ভার্সনের ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ হাজার ৩০২ জন শিক্ষার্থী ৮০ হাজার ১৭৮টি নতুন বই পাবে। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিকের ১ লাখ ৬১ হাজার ৭১৪ জন শিক্ষার্থীকে ১ লাখ ৬১ হাজার ৭১৪টি নতুন বই দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে প্রাথমিক স্তরের ১১ লাখ ৮২ হাজার ৭৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারিভাবে বিনামূল্যে ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৩১টি নতুন বই পাবে এ বছর।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯৮টি নতুন বই এসে পৌঁছেছে। বাকি বই ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষীকেশ শীল।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারির কারণে এবার স্কুলে স্কুলে নতুন বই উৎসব না হলেও বছরের প্রথম দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেবো আমরা।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বই চট্টগ্রামে আসা শুরু হয়েছে। আমরা থানায় থানায় পাঠাচ্ছি। সেখান থেকে কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে- সে বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। আশা করছি করোনার কারণে বই বিতরণে কোনো প্রভাব পড়বে না।

এদিকে জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার জেলা শিক্ষা অফিসের তত্বাবধানে চট্টগ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইবতেদায়ী এবং মাদ্রাসা মিলিয়ে ২ হাজার ২৮৭টি প্রতিষ্ঠানের ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৩ জন শিক্ষার্থীকে ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৭০৫টি নতুন বই দেওয়া হবে।  

এর মধ্যে প্রথম চালানে সাড়ে ৪ লাখ নতুন বই জেলা শিক্ষা অফিসে এসে পৌঁছেছে। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন প্রিন্টিং প্রেস বন্ধ থাকায় নতুন বই ছাপা নিয়ে সংকট তৈরি হয়। এই কারণে এবার মাধ্যমিকের নতুন বই কিছুটা ধীরে আসছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী জানান, করোনার কারণে এবার মাধ্যমিকের বই ধীরে আসছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই সব বই চট্টগ্রামে পাঠানো হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, সব বই এলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। করোনার কারণে নতুন বই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে যাতে দেরি না হয়, সেজন্য কাজ করছি। বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে চাই আমরা।