• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

মাচা পদ্ধতিতে আঙুর চাষে অভাবনীয় সাফল্য

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০  

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় বাড়ির আঙ্গিনায় সবুজ পাতার নিচে বাঁশের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুঁলছে আঙুর। যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। 

তরুণ উদ্যোক্তা ও আইনজীবী সামিউন নবী সামিম জেলায় প্রথম মাচা পদ্ধতিতে আঙুর ফলের চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার প্রত্যাশা অচিরেই দেশের বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ হবে।  
 
জানা গেছে, গত বছর রাজশাহী থেকে ২টি লাল ও ২টি কালো আঙুরের চারা (কাটিং) নিয়ে আসেন সামিম। সেই চারা রোপণ করেন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায়। গত বছর গাছে প্রথম ফল আসে। এ বছর পরিপূর্ণ ফল দেখে তিনি সফলতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। আঙুর মিষ্টি হওয়ায় পরিপূর্ণভাবে গাছের পরিচর্যা শুরু করেন। ফলে দুই বছরের মাথায় প্রথমবারের তুলনায় ৫-৬ গুণ বেশি আঙুর ফল ধরছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার অরুন চন্দ্র রায় সামিমের আঙুর বাগান পরিদর্শন করেছেন। অল্প জায়গাতে অধিক ফলন এবং সুমিষ্ট হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

এলাকাবাসী জানান, সামিমের বাগানের ফরমালিনমুক্ত সু-স্বাদু আঙুর খেতে পারছেন তারা। উদ্দ্যোগ নিলেই এটা ব্যাপক আকারে উৎপাদন করা সম্ভব।  

সামিউন নবী সামিম জানান, অদম্য ইচ্ছা থেকে ৪টি আঙুরের চারা রোপণ করে শুরু করেন আঙুর বাগান। গত বছর তার গাছে ফল আসে। এবছরও ভাল ফলন হয়েছে। বাজারের কেনা আঙুরের মতই সুমিষ্ট। 

তিনি জানায়, বর্ষা মৌসুমে গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আলো বাতাস ও পর্যাপ্ত রোদের তাপ থাকে এমন জায়গাতে রোপণ করলে ফলের স্বাদের মিষ্টতা পাওয়া যায়। গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার দিয়ে গাছ রোপণ করতে হবে এবং নিয়মিতভাবে গাছের যত্ন নিতে হবে। 

তিনি আরো জানান, ভুলেও গাছের ডালপালা ভেঙে ফেলা যাবে না। শীতের শেষে গাছের ডালে নতুন পাতা ও কুশি বের হবে, আর তাতেই ফুল ধরবে এবং পরিণত বয়সে তা আঙুরে রূপান্তরিত হবে। এ সময় গাছের পাতায় মকর নাশক স্প্রে করতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, আইনজীবী সামিউন নবী সামিমের আঙুর বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। আঙুর চাষ করে ভাল ফলনও পেয়েছেন। মূলত শখের বসেই মহাদেবপুরে আঙুর চাষ হচ্ছে। যা অনেকটা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে আঙুর চাষ বাণিজ্যিকভাবে করা যাবে কিনা তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে কৃষি বিজ্ঞানীরা।