• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

করোনা মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০  

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোতে যখন লাশের পাহাড় হয়ে উঠছে তখন চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ভাইরাসটি মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে অবস্থান করছে দেশটি। যেখানে পিছিয়ে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ প্রকাশিত ‘কোভিড রেজিলিয়েন্স র‌্যাংকিং’-এ  এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এছাড়া করোনা মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশ ব্রিটেন ও ইতালি এমনকি সৌদি আরবের মতো দেশগুলোর চেয়েও ভাল অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি মহামারি প্রতিরোধে বিশ্বে বাংলাদেশ ২০-এ অবস্থান করছে।

চলমান করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক আঘাত মোকাবেলায় সক্ষমতাসহ বিভিন্ন সূচকের ওপর ভিত্তি করে গত কয়েক মাস ধরে করোনা সহনশীল দেশের আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং প্রকাশ করছে ব্লুমবার্গ। যেখানে চার ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। নভেম্বরে যেখানে ২৪তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ, সেখানে এক মাসের ব্যবধানে বিশে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছে দেশটি।  

ব্লুমবার্গের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ কোভিড ভ্যাকসিন সুবিধার আওতায় রয়েছে। দেশটির প্রতি লাখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন। মাসে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬ শতাংশ। মারা গেছেন প্রতি ১০ লাখে ৪৪ জন।

তবে জীবনযাত্রার মান নির্ণায়ক সূচকগুলোর মধ্যে জিডিপি আর যোগাযোগ ব্যবস্থার গতির দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে জনজীবনে। এছাড়া লকডাউনের প্রভাব আর স্বাস্থ্যসেবার মানে তাদের থেকে পিছিয়ে দেশটি।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পরে ২৯ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। তাদের স্কোর ৫৪ দশমিক ৮। আর ৫০ দশমিক ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারত রয়েছে ৩৯ নম্বরে। যদিও ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির দিক থেকে ভারত-পাকিস্তান দু’দেশই বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে।

করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির নিশ্চয়তার সূচকে ভালো স্কোর গড়ে র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাদের সংগ্রহ ৮৫ দশমিক ৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তাইওয়ানের স্কোর ৮২ দশমিক ৪। এরপর রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া (৮১), নরওয়ে (৭৭), সিঙ্গাপুর (৭৬.২), ফিনল্যান্ড (৭৫.৮), জাপান (৭৪.৫), দক্ষিণ কোরিয়া (৭৩.৩), চীন (৭২), ডেনমার্ক (৭০.৮), কানাডা (৭০), ভিয়েতনাম (৬৯.৭), হংকং (৬৮.৫), থাইল্যান্ড (৬৮.৫), আয়ারল্যান্ড (৬৭.৩), সংযুক্ত আরব আমিরাত (৬৫.৬), ইসরাইল (৬২.৪), রাশিয়া (৬১.৭), নেদারল্যান্ডস (৬১.৩) এবং বাংলাদেশ (৫৯.২)।