• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

শীতে গোসলের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

শীতকালে প্রায় সবারই গোসলভীতি থাকে। গোসল না করলেই যেন বাঁচে। কিন্তু কতদিন এক নাড়াড়ে গোসল ছাড়া থাকা যায়?
আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক সাবালকের উপর জুময়ার দিনের গোসল ওয়াজিব।’ [সহিহ বুখারি : ৯১৯, মুয়াত্তা মালিক : ২৩১]
সুতরাং সপ্তাহে অন্তত একদিন (বিশেষত জুমার দিন) গোসল করাটা আবশ্যক। 
চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও সপ্তাহে অন্তত একদিন গোসল করা জরুরি। অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডারমাটোলজি’র পরামর্শ অনুসারে শিশুদেরও সপ্তাহে এক বা দু’বার গোসল করানো উচিত।
দুই বা তিন দিন গোসল না করে থাকলে দেহে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধা শুরু করে। এগুলো যে কোনো সময় চোখ, নাক বা মুখের মাধ্যমে দেহের ভেতরে ঢুকে ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ইনফেকশন হতে পারে।
নিয়মিত গোসল না করার ফলে শরীরে ময়লা জমাট বেঁধে বাদামি ছোপ ছোপ দাগ দেখা যাবে। একে ডারমাটাইটিস নেগলেক্টা বলে।
আমাদের শরীরে যে ব্যাকটেরিয়াগুলো থাকে তারা সেখানেই খায় এবং বর্জ্য ত্যাগ করে। এই বর্জ্যটাই দুর্গন্ধ হিসেবে নাকে ধাক্কা দেয়। যে মানুষটার শরীর থেকে বিশ্রি গন্ধ আসে তাকে সবাই এড়িয়ে চলে।
তাই ইসলাম ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের দাবি হলো, নিয়মিত গোসল করা। শুধু গোসলই নয়, সুগন্ধি এবং তেল ব্যবহার করাও ইসলামের শিক্ষা।
যেমন মসজিদে আসার আদব শিক্ষা দিতে গিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা এ দিনে গোসল করে মসজিদে আসবে। তোমাদের প্রত্যেকেই যেন আপন আপন সামর্থ্যানুযায়ী ভালো ভালো তেল ও সুগন্ধি ব্যবহার করে।’ [আবু দাঊদ : ৩৫৩]
তাই শীতকালেও সপ্তাহে অন্তত একদিন গোসল করুন এবং সুস্থ থাকুন।