• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

গিরগিটির মতো রঙ বদলাতেন স্বৈরশাসক জিয়া

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০  

পেশাগত জীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক- সব জায়গাতেই গিরগিটির মতো রঙ বদলাতেন সাবেক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। এর ব্যতিক্রম হয়নি মুক্তিযুদ্ধের সময়েও। ২৫ মার্চ পর্যন্ত জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের পক্ষে। সেনাবাহিনীর অন্য বাঙালি অফিসাররা যেখানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার পর বিদ্রোহ করেন, সেখানে মুক্তিযুদ্ধের এই খলনায়ক পাকবাহিনীর দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত ছিলেন।

জিয়া মূলত চাননি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে। ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের দমন করতে সোয়াথ জাহাজে অস্ত্র পাঠানো হয়, তা খালাস করবার দায়িত্ব পান পাক প্রশাসনের বিশ্বস্ত জিয়া। আর তিনি তা-ই করতে ব্যস্ত ছিলেন।

এদিকে সোয়াথ জাহাজ ধ্বংস করতে বাঙালি যে সকল সেনা জোয়ানরা তৎপর ছিলেন, তার মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন মেজর রফিক, কর্নেল মীর শওকত আলী, কর্নেল অলি, মেজর সুবিদ আলী ও মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু সোয়াথ থেকে অস্ত্র খালাসের দায়িত্বে থাকায় মেজর জিয়া তার গাড়িবহর নিয়ে সেখানে হাজির হন। সে সময় কর্নেল অলি মেজর রফিককে আশ্বস্ত করেন যে জিয়াকে তিনি ফেরাবেন।

কর্নেল অলি ২৭ মার্চ পর্যন্ত সময় নিয়ে অবশেষে জিয়াকে ফিরিয়ে আনেন ওইদিন বিকেলে। জিয়াকে যখন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে আনা হয় তখন সবাই সিদ্ধান্ত নেন যে এখন জিয়াকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঘোষণাপত্রটি পাঠ করাবেন এবং তখন জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর লিখিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি একটি সাদা কাগজে লিখে দিয়ে তা পাঠ করতে দেওয়া হয়। এই ঘোষণাপত্র পাঠ করানোর মূল উদ্দেশ্য হলো, জিয়াকে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে একজন বাঙালি সৈনিক হিসেবে প্রকাশ করা।

এদিকে জিয়া প্রথমে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। পরবর্তীতে সবাই বুঝানোর পর জিয়া তা পাঠ করেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে।

মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকার পরিচালিত যে ১১টি সেক্টর তৈরি করা হয়, প্রথমে জিয়া তার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। পরে ১১টি সেক্টরকে তিনভাগে ভাগ করে জিয়াকে জেড ফোর্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও জিয়া দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় তাকে দু’বার তিরস্কার করা হয়।

ইতিহাস থেকে দেখা যায়, জিয়া ছিলেন বরাবরই পদবী লোভী। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু জিয়াকে বীরউত্তম খেতাব দেন। অথচ জিয়া অন্তরে পাকপ্রেম লালন করতে থাকেন।