কত টাকা হলে ভ্যাট ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক

কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিশোধযোগ্য মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি হলেই ইলেকট্রনিক পেমেন্ট (ই-পেমেন্ট) বা ‘এ’ চালানের মাধ্যমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মূসক নীতি থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এদেশ জারি হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ঐ আদেশ বাধ্যতামূলকভাবে মানার নির্দেশনা দিয়েছে ভ্যাট বিভাগ।

শনিবার এনবিআরের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মূসক নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত ঐ আদেশে বলা হয়েছে, আধুনিক ই-পেমেন্ট বা ‘এ’ চালান পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে দ্রুত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা নিশ্চিত হবে। যেহেতু, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা অধিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর করার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত মূসক জমা প্রদান ও জাল-জালিয়াতি রোধ নিশ্চিত করা সম্ভব; সে কারণে জনস্বার্থে ২০১২ সালের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ও ২০১৬ সালের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালার ক্ষমতাবলে কোনো নির্দিষ্ট কর মেয়াদে কোনো প্রতিষ্ঠানের নীট প্রদেয় মূসকের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা বা তদূর্ধ্ব হলে মূসক বা ভ্যাট ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধযোগ্য হবে এবং সেই  মূসক ই-পেমেন্ট বা ‘এ’ চালান এর মাধ্যমে জমা প্রদান বাধ্যতামূলক করা হলো।

এর আগে, ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক আদেশে ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি  মূসক পরিশোধের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট (ই-পেমেন্ট) বাধ্যতামূলক করেছিল এনবিআর। তখন ঘোষণা করা হয়েছিল ই-পেমেন্টে ভ্যাটের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে।

২০২০ সালের জুলাই থেকে এনবিআর পরোক্ষ কর প্রদানে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট (ই-পেমেন্ট) সিস্টেম উদ্বোধন করে।