• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বিদ্যুৎখাতে অপচয় কমেছে ৭ শতাংশ, বেড়েছে উৎপাদন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৩  

গত ১৪ বছরে বিদ্যুৎখাতে সিস্টেম লস বা অপচয় কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ। ব্যাপকভাবে বেড়েছে উৎপাদন ক্ষমতা। এ সময়ে দেশে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে ১২৫টি। বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে দেশের শতাভাগ মানুষ। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বিতরণ ব্যবস্থায়, বসেছে প্রি-পেইড মিটারও।

গত প্রায় দেড় যুগে বদলে গেছে দেশের বিদ্যুৎখাত। লোডশেডিংয়ের সেই অন্ধকার দিনগুলো পেড়িয়ে দেশের শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। শহর, গ্রাম, পাহাড় কিংবা চরাঞ্চল, বিদ্যুৎ সবখানে।  

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য বলছে, সব মিলে দেশে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা এখন উন্নীত হয়েছে ৪ কোটি ৫৮ লাখে। ২০০৯ সালে ছিল ১ কোটি ৫৮ লাখ। অর্থাৎ গত প্রায় ১৪ বছরে গ্রাহক বেড়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ। ৎ

পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, “যেখানে একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়তে অতীতে ১২ বছরও লেগেছে, সেখানে সাড়ে ৩ তিন মাসে প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্র আনা হয়। এই ধারাবাহিকতায় যেখানে উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫ হাজার মেগাওয়াটেরও কম সেখানে সেটা আজকে ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি।”

আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের মতো সেচ গ্রাহকও বেড়েছে অনেক। ২০০৯ সালে দেশে সেচ গ্রাহক ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার। ২০২৩ সালে এটি দ্বিগুনেরও বেশি বেড়ে ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার।

এদিকে, বিদ্যুৎখাতে সিস্টেম লস বা অপচয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে গত দেড় দশকে। ২০০৯ সালে সিস্টেম লস ছিল ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা এখন ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, “এটা সবার কাছে মিরাকেল। বিশেষ করে যেখানে ১০৮ বছরে ৫ হাজার মেগাওয়াট বাকী ১৩ বছরে ২০ হাজার মেগাওয়াট। সেটা কল্পনারই বাইরে।”

পিডিবি, আরইবি, ডিপিডিসি, ডেসকো-সহ ৬টি বিতরণকারী কোম্পানি নিজস্ব গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনছে। গত জুন পর্যন্ত এসব সংস্থা ৫৮ লাখ ৬১ হাজার ৫২৪ গ্রাহককে প্রি- পেইড মিটার দিয়েছে।

এদিকে, গত দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ। ২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। যা এখন উন্নীত হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াটে।

পাওয়ার সেল মহাপরিচালক বলেন, “বিদ্যুৎখাতে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছি সেটা সারাবিশ্বের মানুষ প্রশংসা করেছে। এখন আমরা কাজ করছি, মানসম্মত ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিয়ে।”

গ্যাস, তেল, কয়লা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ সব মিলে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৯ সালের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ২৪ হাজার মেগাওয়াট।