• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী নাশকতার ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার দাবি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের ধারণা ছিল একটা আঘাত আসবে: প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে: প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী পবিত্র আশুরা মুসলিম উম্মার জন্য তাৎপর্যময় ও শোকের দিন

গ্রাম্য সালিশে সংঘর্ষ, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মায়ের

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৩  

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গ্রাম্য সালিশে সংঘর্ষের ঘটনায় রোকেয়া বেগম (৬২) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের পৈক্ষারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারী ঐ গ্রামের মৃত এবায়দুল্লাহ সরকারের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মৃত এবায়দুল্লাহ সরকারের ছেলেদের সঙ্গে চাচতো ভাই মৃত শহিদুল্লাহ সরকারের ছেলেদের বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও তা সমাধান করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে সমাধান করার কথা ছিল। তবে উভয়পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে বাড়িতেই গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়।

আজ দুপুর ২টা থেকে সালিশ বৈঠক শুরু হয়। সালিশের রায়ে বিরোধপূর্ণ জায়গাটি মৃত এবায়দুল্লাহর ছেলেরা পাবে বলে রায় দেওয়া হয়। তবে জায়গাটি মেপে খড়ের গাদা সরিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় কথা কাটাকাটির জেরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে মারা যান রোকেয়া বেগম।

গ্রাম্য সালিশের বিচারক হান্নান সরকার বলেন, ‘সালিশে আমিসহ সাবেক ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন, নান্নু মিয়া, মোশারফ হোসেন মিন্টুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি আমরা সমাধান করে দিয়েছিলাম। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে সালিশ শেষ হওয়ার পর। তখন আমরা কেউ উপস্থিত ছিলাম না।’

নিহতের ছেলে সোহেল সরকার বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই সজীব, মঞ্জু ও রাজিব আমাকে মারধর করছিল। আমার মা আমাকে বাঁচাতে আসলে তাকে কিল-ঘুষি ও লাঠিপেটা করে তারা। আমার মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সবার আমি ফাঁসি চাই।’

মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, ‘গ্রাম্য সালিশে সংঘর্ষের ঘটনায় এক নারী মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি। ঘটনার পরপর পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে।’