• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী নাশকতার ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার দাবি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের ধারণা ছিল একটা আঘাত আসবে: প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে: প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী পবিত্র আশুরা মুসলিম উম্মার জন্য তাৎপর্যময় ও শোকের দিন

কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে ধর্ষণ, কারাগারে শিক্ষক

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৩  

গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় কোচিং সেন্টারে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। পাশাপাশি তার মুঠোফোন থেকে ধর্ষণের ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তির নাম দেলোয়ার হোসেন ওরফে সাগর (৩০)। তার বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার শরীফ সুন্দর বাজার এলাকায়। দেলোয়ার গাজিপুরের কোনাবাড়িতে একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও পরিচালক ছিলেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রী ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। ওই বছরের ১ জানুয়ারি দেলোয়ারের কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন তিনি। ১৯ আগস্ট সকালে কোচিংয়ে ক্লাস করতে গেলে অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে নিজ কক্ষে ধর্ষণ করেন দেলোয়ার। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। এ ঘটনা কাউকে জানালে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে ওই ছাত্রীকে হুমকি দেন দেলোয়ার। তাই ওই শিক্ষার্থী ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানাননি।

মামলা থেকে জানা যায়, ওই ছাত্রী চলতি বছরের ৩ মে দেলোয়ারের কাছে গিয়ে ভিডিও মুছে ফেলার অনুরোধ করেন। এই সুযোগে ওই দিন আবারো তিনি ধর্ষণ করেন।

এরপর গত ২৮ জুলাই শিক্ষক দেলোয়ার মেয়েটিকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে কোচিং সেন্টারে তার কক্ষে ডেকে আনেন। আবারো তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিলে রাজি না হয়ে কৌশলে কোচিং সেন্টার থেকে পালিয়ে আসেন। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বাড়িতে ওই শিক্ষার্থী তার কক্ষে কান্নাকাটি করছিলেন। এ সময় তার মা কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ঘটনা খুলে বলেন তিনি।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ হোসেন বলেন, নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগের পরই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।