• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে কাজ করছে বিএসটিআই: প্রধানমন্ত্রী চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী

নকল ফ্রুটো-ড্রিংকো তৈরি হতো মোহাম্মদবাগে, যেত অন্যান্য জেলায়

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২৪  

নকল শিশুখাদ্য ভেজাল কোমল পানীয় ড্রিংকো, ফ্রুটো, ম্যাংগো জুস তৈরি ও নকল টেস্টি স্যালাইন তৈরি চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শিশু খাদ্য তৈরি কারখানার মালিক মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮), ডিলার শাহ নেওয়াজ খান (৩৩), বিক্রয়কর্মী মোরশেদুল ইসলাম (৫১), উৎপাদনকারী সবুজ মিয়া (২৩), উৎপাদনকারী মো. আরিফ (২৩) এবং নকল টেস্টি স্যালাইন তৈরি কারখানার মালিক হানিফ মিনা (৩০)।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার লিটারের পানি রাখার রিজার্ভ ট্যাংকি একটি, তিনটি ফিল্টার, একটি আরো মেশিন, ১ হাজার লিটারের একটি বিশুদ্ধ পানির রিজার্ভ ট্যাংকি, ৫০০ লিটারের পানির হিটার মেশিন একটি, কেমিকেল মিক্সচার মেশিন একটি, ১৫০ লিটারের বোতল ফিলিং মেশিন একটি, ৩০ কেজির কোকোনাট নাটা লিকুইড ৬ প্যাকেট, ড্রিংকো ফ্লোট নাটা ডি কোকো সমৃদ্ধ লিচি আর্টিফিসিয়াল ফ্লেভার ড্রিংক (২৫০ মিলি) স্টিকার/লেভেলযুক্ত বোতলজাত কোমল পানীয় ৫৫ কেস, স্টিকার/লেভেল ছাড়া বোতলজাত কোমল পানীয় ১০০ পিস, ড্রিংকো লোগোযুক্ত স্টিকার ১০০ একশটি, প্যাকেটজাত করার হিট মেশিন চারটি ও একটি পানির টিডিএস মাপার মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদবাগের সিরাজ ছৈয়ালের ভাড়া দেওয়া একটি কারখানা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হারুন অর রশীদ বলেন, বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে লিচি আর্টিফিসিয়াল ফ্লেভার ড্রিংক, লেভেলযুক্ত বোতলজাত কোমল পানীয় তৈরি এবং নামিদামি ব্যান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে বাজারজাত করে শিশু-কিশোরসহ সাধারণ জনগণের জীবন হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছিল তারা। বাড়ির মালিক সিরাজের সহায়তায় গ্রেপ্তাররা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন এই কারখানার মালিক। তিনি ড্রিংকো, ফ্রুটো, ম্যাংগো জুস ইত্যাদি ২৫-৪০ শতাংশ কমিশনে লোভনীয় অফারে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতো। আনোয়ার গত ২ বছর ধরে ভেজাল শিশু খাদ্য, নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে স্যাকারিন, পানি, আর্টিফিশিয়াল ফ্লেবার, মানহীন কেমিক্যাল দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল কোমল পানীয় ড্রিংকো, ফ্রুটো, ম্যাংগো জুস তৈরি করছিল।

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ভেজাল পণ্য ফরিদপুর, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে তারা। এসব ভেজাল খাদ্য তৈরির কাঁচামাল ও লোগো রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকা থেকে সংগ্রহ করত। গত কয়েকদিনে তীব্র দাবদাহে মানুষের মধ্যে পানীয় পানের চাহিদা বাড়ায় এ ধরনের ভেজাল কোমল পানীয় তৈরি বাড়িয়ে দেয় তারা।

ভেজাল খাদ্য ও নকল স্যালাইন সেবনের পর শরীরের বিভিন্ন ক্ষতির কথা উল্লেখ করে হারুন অর রশীদ বলেন, ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে ইলেকট্রোলাইট বের হয়ে যায়। তখন ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণের জন্য স্যালাইন খাওয়া হয়। নকল স্যালাইন খেলে ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি তৈরি হয়। ফলে হার্ট, লিভার নষ্ট হয়ে মারা যেতে পারে। এছাড়া মস্তিষ্ক ডেমেজ, কিডনি ও হার্ট ড্যামেজের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।