বদলা নিতে ডেকে নিয়ে কোপানো হয় পাভেলকে
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় গ্রুপিং নিয়ে পাভেল ও হাবিবের মধ্যে মারামারি হয়। মারামারির এক পর্যায়ে হাবিবের হাতে কোপ দেন পাভেল। ওই ঘটনায় ২০২৩ সালে ২৮ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা হয়। পাভেল জেল খাটলেও খেদ মেটেনি হাবিবের। বদলা নিতে পরিকল্পনা করতে থাকেন হাবিব। দুই-তিন বার চেষ্টা করেও ভেস্তে যায় তার পরিকল্পনা।
হাবিব নতুন করে পরিকল্পনা করেন। মাদক সেবনের জন্য তানজীব নামে এক সহযোগীর মাধ্যমে গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর বাড্ডার পাঁচতলা বাজার এলাকার বাসা থেকে পাভেলকে মোটরসাইকেল যোগে ডেকে নেওয়া হয় পল্লবীতে। মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকার টেকেরবাড়ি নামক স্থানে গণপূর্তের পুকুরের উত্তরপাড়ে মাদক সেবন করেন পাভেল। এরমধ্যে সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে বাসযোগে আসে হাবিবসহ আরও কয়েকজন। সবাই একসঙ্গে পাভেলের ওপর ঝাপিয়ে পড়েন। চাকু ও ছুরি দিয়ে পেট ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৪৫টি আঘাত করা হয়। এরপর তাকে গণপূর্তের পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান সবাই।
স্থানীয়দের মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পাভেলের মরদেহ উদ্ধারের পর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পল্লবী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন— মামলার এজহারভুক্ত আসামি মূল পরিকল্পনাকারী মো. হাবিব (২৮), মো. হানিফ (২৬) ও মো. আনিছ (২২)। তাদের বরিশালের মেহেদীগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আর মামলার আসামি না হলেও জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত সোহান ও সাবুদ্দিন নামে অপর দুজনকে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে ঘটনার সত্যতা ও জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হাবিব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাকি চারজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত পাভেলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায়। তার বাবার নাম শায়েস্তা খান। পাভেল থাকতেন বাড্ডার পাঁচতলা বাজার এলাকায়। তিনি বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তবে তার মায়ের ভাষ্যমতে, ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন পাভেল।
গত সোমবার পাভেলের মা পারুল বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারভুক্ত আসামি ছয়জন। তারা হলেন—মো. হাবিব (২৮), মো. হানিফ (২৬), মো. আনিছ (২২), মো. রায়হান ওরফে বাবুৃ (২২), মো. মিলন (৩৭), ও মো. জনি (২৬)। অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয়জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে গত ১১ এপ্রিল গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় যান পারুল বেগম। তবে ঢাকায় থেকে যান দুই ছেলে পাভেল ও তমাল। গত ১৪ এপ্রিল পাভেল বাসা থেকে বের হলে মামলার এক নম্বর আসামি মো. হাবিব ঘোরাঘুরি করার জন্য মোটরসাইকেলে করে পাভেলকে নিয়ে যান। রাত ৮টার সময় সব আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পাভেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী, পাভেলের পিঠে ছোট-বড় ২২টি এবং মাথায় ৮টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আর মাথার পেছনে প্রায় তিন ইঞ্চি লম্বা আঘাতের চিহ্ন, কোমড়ে চারটি ধারালো অস্ত্রের ক্ষত দেখা গেছে। পাভেলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মোট ৪৫টি ধারালো অস্ত্রের ক্ষত-বিক্ষত আঘাত দেখেছে পুলিশ।
আসামিরা পাভেলের মৃত্যু নিশ্চিত করতেই লাশ গণপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে পানিতে ফেলে পালিয়ে যায় বলে উল্লেখ করে পারুল বেগম বলেন, আমি গত ১২ বছর যাবত বাড্ডায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছি। পাভেল আমার বড় ছেলে। পাভেল ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। সেই সূত্রে মামলার আসামিদের সঙ্গে আমার ছেলের পরিচয় ও চলাফেরা ছিল।
তিনি জানান, বাড্ডা এলাকায় মারামারি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা পরিচালনা, মাদক বিক্রয়সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসামিরা। আমার ছেলে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর বাধা দেওয়ায় তাদের সঙ্গে মারামারি হয়। আসামি হাবিব বাদী হয়ে পাভেলের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ১৮ দিন জেলহাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পায় পাভেল।
এত তাড়াতাড়ি পাভেল কেন জামিনে বের হয়ে এলো, সেই কারণে হাবিবসহ অন্যরা ক্ষিপ্ত ছিল দাবি করে মা পারুল বলেন, পুনয়ায় শিক্ষা দিতেই এলাকায় বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতে থাকে তারা। আমার ছেলে পাভেল ভয়ে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে থাকতো। আমি গত ১১ এপ্রিল বাড়ি যাবার পর ওরা আমার ছেলেটাকে মেরেই ফেললো।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, বাড্ডা এলাকার গ্রুপিং নিয়ে এলাকায় পাভেল ও হাবিবের মধ্যে মারামারি হয়। পাভেল কোপ দেয় হাবিবের হাতে। এ ঘটনায় ২০২৩ সালে ২৮ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা হয়। মামলা নং ৬১।
তিনি বলেন, ওই মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন পাভেল। পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। এরপর থেকেই পাভেলকে মারার পরিকল্পনা করছিলেন হাবিব। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই পাভেলকে কোপানোর পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। হাবিব তার এলাকার বন্ধু তানজীবের সহায়তায় পল্লবী স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকার পেছনে ডেকে নিয়ে যান হাবিবকে।
পরিদর্শক আমিনুল আরও বলেন, সেখানে তারা মাদক সেবন করেন। এরপর হাবিবসহ অন্যরা উপস্থিত হবার পর চাকু আর ছুরি দিয়ে ৪৫টি আঘাত করে পাভেলকে পানিতে ফেলে যান। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পাভেলের মৃত্যু হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, পাভেল নিজেও মাদক সেবন ও কারবারে জড়িত ছিলেন। তবে তিনি এ সংক্রান্ত কারণে কখনো পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হননি। অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ও পলাতক প্রত্যেক আসামির নামে একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিরা স্বল্পশিক্ষিত। পাভেল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হাবিব বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারে চাকরি করেন বলে জানান পরিদর্শক আমিনুল।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- সাদা পোশাক ঘেমে হলদেটে হয়ে গেলে কী করবেন?
- বানিয়ে ফেলুন ৪ স্বাদের লাচ্ছি
- সরকারি ক্রয় আইন পরিবর্তনের সুপারিশ
- সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নিন
- প্লাস্টিক বর্জ্যে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীরা পড়বেন ব্ল্যাকলিস্টে
- বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
- আইফোন ১৬-তে যেসব নতুন ফিচার থাকছে
- শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতের শিক্ষক পাবে প্রাথমিক স্কুল
- সাত দিনে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল ৭ মে পর্যন্ত
- চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী
- শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ সৎবাবার বিরুদ্ধে
- বরিশালে বেহুন্দি জালসহ ২ জেলে আটক
- উজিরপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কীম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- পটুয়াখালীর মুগডাল যাচ্ছে জাপানে
- তৃতীয় বিয়ে করছেন শাকিব, এর মাঝেই আইনি ব্যবস্থার কথা বললেন বুবলী
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উন্নতিতে বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত
- জি কে শামীমের জামিন ঘিরে ফের প্রতারণা
- ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১
- উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠনের নির্দেশ ইসির
- প্রথম ধাপের ভোটে ১৪১ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন আজ
- এএসপি পদে পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৪ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত
- সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে
- ছদ্মবেশে গাজীপুর ও নীলফামারীর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
- প্রতিভা বিকাশে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না : টুকু
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- বান্দার যে কর্মের ফলে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন আল্লাহ
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে
- মাদারীপুরে মামলা করায় বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ।। আহত ১৫
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- মাসব্যাপী ঈদ উপহার বিতরণ করবে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত
- শেখ হাসিনার দয়ায় খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন- চীফ হুইপ