• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

জবি ছাত্রী আত্মহত্যা: সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি, ছাত্রকে বহিষ্কার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪  

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায়ী করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

এছাড়া অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে প্রাথমিকভাবে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকে বহিষ্কার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি (জবির প্রক্টর)।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যাচেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অবন্তিকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জবির প্রক্টর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। অফিস খুললেই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আর যেহেতু অভিযুক্তের একজন আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য তাই মাননীয় উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

অবন্তিকার সহপাঠীর বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনতো অফিস বন্ধ, অফিস খুললেই তাকে বহিষ্কারের নোটিশ দেওয়া হবে। যেহেতু সুইসাইড নোটে তাদের নাম এসেছে। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে। এছাড়া আমাদের একটি প্রক্টরিয়াল টিম অবন্তিকার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে। তার মায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড সাদেকা হালিমের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল কেটে দেন। মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এর আগে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে জবির আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যা করার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য সহকারী প্রক্টর ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী নামে একজনকে দায়ী করেন। স্ট্যাটাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিমের কাছে এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন।