কোনো শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুকে মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন হিসাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, তারাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না, কোনো মানুষই ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হবে না। প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলব।
শেখ হাসিনা শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি হয়। জাতীয় শিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হলো-‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজকের শিশুদের এটুকুই বলব, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, শিক্ষকদের কথা মান্য করা, অভিভাবকদের কথা মান্য করা এবং প্রতিটি শিশুকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। সবাইকেই উন্নত মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন হতে হবে। যারা প্রতিবন্ধী বা অক্ষম ব্যক্তি, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আজ আমাদের মাঝে নেই; কিন্তু তার আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত সম্দ্ধৃ বাংলাদেশ’।
তার সরকার শিশুর সুরক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আগামী দিনে ২০৪১ সালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ আমরা গড়তে চাই এবং আজকের শিশুই হবে সেই আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী। যারা এই বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে।
প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে আজকের শিশুকে উন্নত নাগরিক হিসাবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতির পিতা যেমন ফুটবল খেলতেন, তার দাদাও খেলতেন আর আমার ভাইয়েরা তো খেলতেনই। এমনকি ছেলে-মেয়ে এবং নাতি-পুতিরাও খেলাধুলা করে। এজন্য তার সরকার আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার নানারকম ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শিশুকে ভালোবাসতেন এবং শিশুর জন্য তার অত্যন্ত দরদ ছিল এবং শিশুর সঙ্গে খেলা করতেও তিনি ভালোবাসতেন। এজন্য তার জন্মদিনকে আমরা ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেছি। কারণ, শিশুরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। শিশুদের পক্ষে বক্তব্য দেয় ছোট্ট স্বপ্নিল বিশ্বাস। শিশু প্রতিনিধি স্নেহা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে দুই শিশু রুবাবা তোহা জামান এবং এএল শরফুদ্দিন। শুরুতে ‘বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসন আয়োজিত চিত্রাঙ্কন এবং জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা এবং আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমানের লেখা ‘শিশুদের শেখ মুজিব’ শিরোনামের একটি সচিত্র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত সেরা চিত্রকর্মটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক হিসাবে উপহার দেওয়া হয়।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে ১০০ অসচ্ছল শিক্ষার্থী আর্থিক অনুদান হিসাবে প্রত্যেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে লাভ করে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ-সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা শেখ মুজিবের জন্মস্থান। এই মাটিতে তিনি জন্ম নিয়েছেন, বড় হয়েছেন এবং এই মাটিতেই তিনি শায়িত। নিজের জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতর যে মানবিকতা রয়েছে, মানুষের প্রতি দরদ, শিশুকাল থেকেই সেটা দেখা গেছে। যখন স্কুলে পড়তেন, তখন থেকেই দরিদ্র কোনো শিক্ষার্থী যার বই নেই, তাকে বই দিয়ে দিতেন। নিজের গায়ের কাপড় খুলে দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধান পর্যন্ত মানুষের মাঝে বিলিয়েছেন। তার ভেতর সেই মানবিকতা ছোটবেলা থেকেই আমার দাদা-দাদি লক্ষ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বড় হয়ে জাতির পিতা, যারা একেবারে শোষিত-বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগে চিকিৎসা পেত না, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্যই আজীবন সংগ্রাম করেছেন। আমরা আজ যে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে পারছি, সেজন্য ১৯৪৮ সাল থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম জাতির পিতাই শুরু করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও স্বাধীন জাতি হিসাবে আত্মপরিচয়।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা কেবল স্বাধীনতাই এনে দেননি। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে মাত্র নয় মাসের মধ্যে যে সংবিধান দিয়েছিলেন, সেখানেই শিশু অধিকারের কথা বলা আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। দুস্থ-অনাথ শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় শিশু আইন, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেন। তিনি এসব শিশুর জন্য ‘কেয়ার অ্যান্ড প্রটেকশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে সরকারি শিশু পরিবার নামে পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় সরকার গঠনের পর আমরা জাতীয় শিশু শ্রমনীতি-২০১০, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন-২০১০, জাতীয় শিশুনীতি-২০১১, এবং মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৩-২০২৫), উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন-২০১৮, বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে জাতীয় মহাপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন-২০২০ প্রণয়ন করেছি।
ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
- জ্বরে আক্রান্ত শিশু, অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন নয়তো?
- চুলে ডিম ব্যবহার করলে কী হয়?
- ইফতারের জন্য মিল্ক ডেজার্ট তৈরির রেসিপি
- মানুষের রক্তে প্লাস্টিক, বিজ্ঞানীরা এর কারণ জানালেন
- ৮ বছর লুকিয়ে থাকার পর ফাঁসির আসামি গ্রেফতার
- যে কোনো অর্জনেই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়: প্রধানমন্ত্রী
- টস হেরে এবার বোলিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে মিরাজ
- চট্টগ্রাম ও উত্তর-পূর্ব ভারতে জাপানের বিনিয়োগ হাজার কোটি ডলার
- জুনে স্পট মার্কেট থেকে কেনা হবে সর্বোচ্চ এলএনজি
- সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের বাইরে বিজিবির গুলিবর্ষণে হবে তদন্ত
- উত্তরে নতুন আশা
- গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে
- ৭০ বছরের বৃদ্ধ বিয়ে করলেন ৩৫ বছরের কনে
- মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ৪৩ সদস্য আটক
- পাসপোর্ট দালাল চক্রের ১১ সদস্য আটক
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২১ দিনে নিহত ১১
- আরাভকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ‘কোনও বাধা নেই’
- দগ্ধ হয়ে জন্ম দিলেন ছেলের, ১১ দিন পর মারা গেলেন মা
- সামরিক যানের মতোই যানবাহন নামাচ্ছে পুলিশ
- বড় অংকের টাকা আনা-নেওয়ায় ৯৯৯ নম্বরে কলের পরামর্শ পুলিশের
- রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বরিশালে র্যালি
- শীর্ষ চোরাকারবারি গোল্ড মনিকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা
- স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষক পাবেন ভর্তুকি ও ঋণ সহায়তা
- বাংলাদেশকে প্লেন চলাচলের কেন্দ্রে পরিণত করতে রোডম্যাপ জরুরি
- করোনায় শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে ঘাটতি পূরণের সুপারিশ
- মার্কিন প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ
- বড় বোনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি: একা পেয়ে ছোট বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
- শাহ আমানতে পৌনে ৩ কেজি স্বর্ণসহ যাত্রী আটক
- ‘যতদিন বাঁচবো ততদিন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবো’
- ফেলে দেওয়া ব্যাগে মিলল সাড়ে ৪ হাজার ইয়াবা
- প্রেমিকাকে বিয়ে করতে শিশু অপহরণ, অবশেষে ধরা
- বীমা দিবস উপলেক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুর্ষ্ঠিত
- মাদারীপুরে গাঁজা ও বিদেশী মদসহ দুইজন গ্রেফতার
- মাদারীপুর সদর হাসপাতালে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পেয়েছে দুদক
- প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে আইসিইউতে পাঠালেন প্রেমিকা
- পেঁয়াজের হেয়ার টোনার
- ১০৮০ পিক্সেলের পরীক্ষা চালাচ্ছে ইউটিউব
- মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
- ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না
- প্রাথমিকের বৃত্তির ফল প্রকাশ আজ; জানা যাবে যেভাবে
- মামির সঙ্গে পরকীয়া, ভাগনের হাতে মামা খুন
- রুই মাছের ঝোল
- সরকারের মামলা পর্যবেক্ষণে সলট্র্যাক
- মাদারীপুর শহরে চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও সর্তক বার্তা
- যে পুণ্য মৃত্যুর পরও চলতে থাকে
- প্রাথমিকে বৃত্তির সংশোধিত ফল আজ
- শিশুর মৃগীরোগ: লক্ষণ ও করণীয়
- হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য বিপদ সংকেত!
- কোলেস্টেরল কমানোর উপায়
- ছাত্রকে ‘ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে মরিচের গুঁড়া’ লাগান শিক্ষক!
- মাদারীপুরে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার
- শেখ হাসিনা শান্তি উন্নয়ন ও জনকল্যাণের রাজনীতি করেন
- তারেকের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ খালেদা
- আশ্রয়হারা ৬ হাজার শিশুর জরুরি সহায়তা প্রয়োজন- ইউনিসেফ
- নিরাপদে থাকার আমল
- মাদারীপুর জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত করার লক্ষে প্রেস ব্রিফিং
- কল্যাণের ওপর বেঁচে থাকা ও মৃত্যুবরণ করার আমল
- প্রাইভেট নিউজলেটার যুক্ত হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপে
- বক ফুলের পাকোড়া
- রাজৈরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার