• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ব্রিটেনে বাংলাদেশ-পাকিস্তান শান্তি বৈঠকের প্রস্তাব

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২০  

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব আলেক ডগলাস হিউম বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি বৈঠকের জন্য লন্ডনকে নিরপেক্ষ স্থান হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব দেন। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ভারত উপমহাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এই প্রস্তাব দেন।
আলোচনায় ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব জানান, উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে যত শিগগির সম্ভব তারা স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন দেখতে চান। এই মনোভাবের ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও শান্তি বৈঠকে তাদের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যাপারে ব্রিটেন নিজেকে জড়াতে চায় না। এ ব্যাপারে কোনোরকম মধ্যস্থতা করতেও ব্রিটেন চায় না। কিন্তু বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠানের স্থান দিতে তারা প্রস্তুত।

ইউসি আইরিশ পররাষ্ট্র দফতরের এই বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানাচ্ছে যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব হিউমের সঙ্গে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নিষ্পত্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তাদের মধ্যে ৫০ মিনিটের আলোচনায় উপমহাদেশের পুনরায় স্বাভাবিক সম্পর্ক ফিরিয়ে আনা ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয় প্রাধান্য পায়।

বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি হবে না

আন্তর্জাতিক জুরিস্ট কমিশন, তুরস্ক এবং ইরান ভারতের কাছে পাকিস্তানের যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল। ভারত সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ ভারত মনে করে এ ব্যাপারে আগে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হওয়া দরকার। ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের উপমন্ত্রী সুরেন্দ্রনাথ সিং লোকসভায় একথা জানান। ভারত সরকার জুরিস্ট কমিশন, তুরস্ক ও ইরানকে একথা জানিয়ে দিয়েছে যে পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বর্ণিত আলোচনা হতে পারছে না। বাংলাদেশের মতামত ছাড়া পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী ও অন্তরীণ বেসামরিক লোকদের মুক্তির প্রশ্ন বিবেচনা করা যায় না।

ভারত বাংলাদেশের অবস্থানকে গুরুত্ব দিচ্ছে, কেননা যুদ্ধবন্দি ও বেসামরিক ব্যক্তিরা ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। 

লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয় পদক পেলেন বঙ্গবন্ধু

সফররত সোভিয়েত শুভেচ্ছা প্রতিনিধি দলের নেতা প্যাট্রিক লুমুম্বা মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভাদিমির স্তানিশ এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের একটি বিশেষ পদক প্রদান করেন। সন্ধ্যায় গণভবনে এই প্রতিনিধিদল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা বঙ্গবন্ধুকে লেনিনের প্রতিকৃতি অঙ্কিত একটি নান্দনিক উপহার দেন। এই সাক্ষাৎ প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হয়েছিল। ঢাকাস্থ সোভিয়েত রাষ্ট্রদূতও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের কাছে অধ্যাপক স্তানিশ বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলাপ করে তারা মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে জ্ঞানী ও মহান বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেন।

খাদ্য ঘাটতি পূরণ না হলে দেশ ভিক্ষুকে পরিণত হবে

সরকার বার্ষিক ৩০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি পূরণের উদ্দেশ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন তার সদ্ব্যবহার করার জন্য শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যদি খাদ্য ঘাটতি পূরণ করা না যায় তবে দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। ১৯৭২ সালের এই দিন ময়মনসিংহে এক জনসভায় তিনি বক্তৃতা করছিলেন।