ফাঁসিতে ঝোলার আগে বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদের জবানবন্দি
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২০
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া খুনিদের মধ্যে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এদিকে ৪৫ বছর দেশের বাইরে পলাতক থাকার পর গত ৬ এপ্রিল গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় এ মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল মাজেদ।
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১২ এপ্রিল ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে মেজর জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা নিয়ে জবানবন্দি দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) মাজেদ।
জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান সাহেব ১০-১১টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট অডিটোরিয়ামে সব অফিসার এবং জওয়ানদের এড্রেস করেন। ওখানে উনি মোটিভেট করেন, যে ঘটনা গত রাতে ঘটে গেছে তোমরা সে সব নিয়ে কোনো মাথা ঘামাবে না। তোমরা সব চেইন অব কমান্ডে ফিরে যাও। তোমরা সবাই ফিরে যাও, তোমরা কাজকর্ম কর। এটা জাতির ব্যাপার, আমাদের ব্যাপার না।’
মাজেদ আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সমর্থন আছে না হলে উনি আগ বাড়িয়ে এসব মোটিভেশন কেন করবেন? উনার সমর্থন ছিল তা পরিষ্কার কথা। রেগুলার ওরাই ডিরেক্ট করতো সবকিছু, হুকুম চালাতো ওখান থেকে। ওরা যা চাইতো জিয়াউর রহমান তাই করে দিতেন। এ ধরনের অবস্থা ছিল তখন। এতেই তো সব পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। এরা সব ভিআইপি অবস্থায় ছিল। প্রেসিডেন্টের গেট দিয়ে এরা প্রবেশ করতো। প্রেসিডেন্টের পাশের ভিআইপি স্যুটে মোশতাক সাহেব যে রুমে থাকতেন, সেই পাশে ওরা থাকতো। ওখানেই ওদের সাথে জিয়াউর রহমান সাহেবের কথোপকথন হতো।’
তিনি বলেন, আর্মির চেইন অব কমান্ড বলতে তখন কিছু ছিল না। ওরাই চালাতো প্র্যাকটিক্যালি। পরে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমার একবার সাক্ষাৎ হয়েছিল। আমি সেনা হেড কোয়ার্টারে উনার কাছে সাক্ষাৎকার দিতে যাই। সেখানে উনাকে বললাম, আমার একটা সার্ভিসের বিষয়ে। আমি উনাকে বাইরে সিভিল সার্ভিসের বিষয়ে অনুরোধ করেছিলাম। তখন উনার সাথে আলোচনা হয়েছিল।’
খুনি মাজেদ বলেন, ‘তখন উনি এ হত্যাকাণ্ড (ক্যু) এর পক্ষপাত সুলভ কথাবার্তা বলছেন। এবং এটাই বোঝা গেছে ক্যুর সমর্থক। ওদের সঙ্গে উনার সবকিছু যোগাযোগ ছিল। পরে বঙ্গভবনে অবস্থানকারী সব সেনা অফিসার ছিল তাদের বিদেশে পাঠানোর সব ব্যবস্থা করেন জিয়াউর রহমান। আমি এগুলো দূর থেকে দেখেছি। উনি সব কাগজপত্র তৈরি করতে মিলিটারি সেক্রেটারি তখনকার ব্রিগেডিয়ার মাশহুর হককে নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু আমরা বঙ্গভবনে ডিউটিরত ছিলাম সেখানকে আমাদেরকেও ব্যাংককে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ব্যাংকক থেকে আমাদের আর ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়নি। পরে শুনলাম জিয়াউর রহমান সাহেব পুরো ক্ষমতায়। পরে তাদের লিবিয়ায় আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করেছেন। পরে শুনলাম তারা জেলখানাতেও জাতীয় চার নেতাকে মেরে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘লিবিয়াতে আমরা গিয়েছিলাম। তারপর বলে যে ফরেন সার্ভিস হবে সবার। আমরা শুনি জিয়াউর রহমান সাহেব ফরেন সার্ভিস দেবেন সবাইকে প্রাইজ হিসেবে। সেই সঙ্গে একটা করে প্রমোশন দিয়ে দেবেন। কিছুদিন পরে জিয়াউর রহমান জেনারেল নুরুল ইসলামকে পাঠান। তিনি ওদের সাথে মিটিং করে। জিয়াউর রহমানের পক্ষ থেকে কার কার ফরেন পোস্টিং হবে সেই সব চয়েজ নিতেই উনি গেছেন। জিয়াউর রহমানের ডাইরেক্ট মদদ ছিল ওদের প্রতি। উনি ওদের টোটাল পেট্রোনাইজড করেছেন। একটা করে প্রমোশন জাম্পড করে একটা করে ফরেন প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছেন। এসব অফিসার ফরেন সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত নয়। তারা গ্রাজুয়েটও না। এতেই বোঝা যায় জিয়াউর রহমান পুরোপুরি ওদের সাথে জড়িত ছিলেন। তাদের জন্য বঙ্গভবন থেকে পাসপোর্ট এমনকি পরিবারও তাদের সাথে পাঠিয়ে দেয়া হয়। যারা বিয়ে করেননি তাদের হবু স্ত্রী, গার্লফ্রেন্ড সবাইকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মেজর শাহরিয়ার বিয়ে করে নাই এক ভদ্রলোকের স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান। সেইসব কাগজপত্র তাদের বানিয়ে দেয়া হয়েছে। এই সব সুযোগ সুবিধার জন্য বোঝা যাচ্ছে তিনি (জিয়াউর রহমান) এর সঙ্গে জড়িত। যেহেতু তিনি আর্মি চিফ আর এরা আর্মি অফিসার।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- সাদা পোশাক ঘেমে হলদেটে হয়ে গেলে কী করবেন?
- বানিয়ে ফেলুন ৪ স্বাদের লাচ্ছি
- সরকারি ক্রয় আইন পরিবর্তনের সুপারিশ
- সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নিন
- প্লাস্টিক বর্জ্যে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীরা পড়বেন ব্ল্যাকলিস্টে
- বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
- আইফোন ১৬-তে যেসব নতুন ফিচার থাকছে
- শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতের শিক্ষক পাবে প্রাথমিক স্কুল
- সাত দিনে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল ৭ মে পর্যন্ত
- চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী
- শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ সৎবাবার বিরুদ্ধে
- বরিশালে বেহুন্দি জালসহ ২ জেলে আটক
- উজিরপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কীম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- পটুয়াখালীর মুগডাল যাচ্ছে জাপানে
- তৃতীয় বিয়ে করছেন শাকিব, এর মাঝেই আইনি ব্যবস্থার কথা বললেন বুবলী
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উন্নতিতে বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত
- জি কে শামীমের জামিন ঘিরে ফের প্রতারণা
- ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১
- উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠনের নির্দেশ ইসির
- প্রথম ধাপের ভোটে ১৪১ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন আজ
- এএসপি পদে পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৪ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত
- সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে
- ছদ্মবেশে গাজীপুর ও নীলফামারীর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
- প্রতিভা বিকাশে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না : টুকু
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- বান্দার যে কর্মের ফলে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন আল্লাহ
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে
- মাদারীপুরে মামলা করায় বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ।। আহত ১৫
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- মাসব্যাপী ঈদ উপহার বিতরণ করবে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত
- শেখ হাসিনার দয়ায় খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন- চীফ হুইপ