• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪  

দীর্ঘ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোলার জেলেরা। দীর্ঘদিন পর নদীতে গিয়ে আশানুরূপ মাছ পাবেন, এমনটাই আশা তাদের। এরইমধ্যে মাছ শিকারের সকল উপকরণ প্রস্তুত করেছেন জেলেরা।

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভোলার খাল ও ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি জেলে পল্লীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারের জন্য জাল, নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার প্রায় আড়াই লাখ জেলে। নিষেধাজ্ঞা শেষে দল বেঁধে আবারও নদীতে নামবেন তারা। নদীতে বড় সাইজের ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ শিকার করতে পারবেন বলে আশা তাদের।

ভোলার খাল এলাকার জেলে সাইফুল মাঝি, আব্দুল সোবাহান মাঝি, তাজুল মাঝি ও সালাউদ্দিন মাঝি জানান, দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা নদীতে গিয়ে মাছ ধরতে পারিনি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে যাওয়ার জন্য নৌকা, ট্রলার, জালসহ মাছ শিকারের সকল সামগ্রী প্রস্তুত করেছি। জেলেরা দল বেঁধে নদীতে গিয়ে ইলিশ, পোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরবো।

তুলাতুলি এলাকার জসিম মাঝি, কবির মাঝি ও জাকীর মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের আয় রোজগার বন্ধ ছিল। তাই ধার-দেনা করে সংসার পরিচালনা করেছি। তার আগে এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জাল, নৌকা, ট্রলার তৈরি করেছি। সেই ঋণের কিস্তি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিতে না পেরে পালিয়ে বেড়িয়েছি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে বড় সাইজের ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, পোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ শিকার করে বকেয়া কিস্তি ও ধার-দেনা পরিশোধ করবো।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কামাল আজাদ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছেন দাবি করে জানান, নদীতে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে। তাই নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত মাছ পেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। আর সেইসঙ্গে ভোলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

ইলিশের আভয়াশ্রমের কারণে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরণের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা চলছে।