• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলো ২৯ জন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৪  

'সেবার ব্রতে চাকরি' এই স্লোগানের শতভাগ মেধা যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে মাদারীপুরে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশের চাকরি পেয়েছেন ২৯ তরুণ-তরুণী। এই চাকরি পেতে অনলাইন আবেদন খরচ বাবদ জনপ্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা। গতকাল সন্ধ্যায় মাদারীপুর পুলিশ লাইনে নতুন চাকরি পাওয়ায় এই তরুণ-তরুণীদের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম। এতে ২৫ জন ছেলে এবং ৪ জন মেয়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেলা পুলিশ। কোনো প্রকার হয়রানি, সুপারিশ এবং ঘুষ ছাড়া পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে পেরে খুশিতে আত্মহারা হত দারিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারে এসব তরুণ-তরুণী। এবং বর্তমান সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানায়।
জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল ২৯ জনের শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে ১১০০ জন প্রার্থী শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা শেষে ২০০ জন লিখিত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেন এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কারীর মধ্যে চূড়ান্তভাবে ২৯ জনকে (২৫ জন ছেলে ও ৪ জন মেয়ে) মনোনীত করে মাদারীপুর জেলা টিআরসি-২০২৪ নিয়োগ বোর্ড ৷ এতে অপেক্ষমাণ রাখা হয় আরও ৫ ছেলে ও ২ মেয়েকে। ২৯ জনের মধ্যে সাধারণ কোটা ১৮ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪ জন, ৩ পোষ্য কোটায় একজন, নারী সাধারণ কোটায় ৪ জন।  এছাড়া ৫জন পুরুষ ও ২জন নারীকে ওয়েটিং রাখা হয়েছে। নিজ যোগ্যতায় ও মেধায় চাকরির ফলাফল পাওয়া মাত্রই ২৫ জন তরুণ-তরুণী আনন্দে বিমোহিত হয়। এ সময় পুলিশের ড্রিল শেড মুহূর্তের মধ্যে পরিণত হয় আনন্দ ও কান্নার মিলনমেলায়। অনেকের নাম ঘোষণার পরপরই দুই নয়ন অশ্রুতে ভিজে যায়। অনেকেই চাকরি পেয়ে আনন্দ উল্লাস করেন।
এ বিষয়ে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম বলেন, ‘নিজের যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে আজ চাকরি পেল ২৯ জন তরুণ-তরুণী। যারা আজ নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই নিজেদের যোগ্যতায় ও মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এতে তাদের কোনো যোগাযোগ, লবিং ও ঘুষ বিনিময় করতে হয়নি। তাদের মাত্র আবেদন করতে যে খরচ হয়েছে ১২০ টাকা, সেটিই তাদের খরচ। আশা করছি আজকে যারা পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের নতুন সদস্য হলেন তারা সবাই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। তাদের জন্য রইল অনেক শুভকামনা।’
এসময় মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস মোঃ মনিরুজ্জামান ফকির, মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান, এএসপি (শিবচর সার্কেল) রব্বানী হোসেন, মাদারীপুর সহকারি পুলিশ সুপার শেখ মোঃ মুরসালিনসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীগণ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।