• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

বান্দরবানে নিরাপত্তা জোরদার, অভিযানে যুক্ত হলো সাঁজোয়া যান

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৪  

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আতঙ্ক সৃষ্টি করা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুচি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএফ) বিরুদ্ধে যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রুমা-থানচি উপজেলায় কেএনএফ এর লাগাতার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে যুক্ত করা হয়েছে চারটি সাঁজোয়া যান (এপিসি)।

গতকাল (রোববার) রাতে চারটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) বান্দরবান শহরে প্রবেশ করে এবং সকালে বান্দরবান পৌর এলাকায় টহল দিয়ে যানগুলোর মধ্যে একটি রুমা এবং একটি থানচি উপজেলার উদ্দেশে রওনা দেয়।

এদিকে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে। জেলা সদরের পাশাপাশি বান্দরবান থেকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সদস্য মোতায়েনের কাজ চলমান রয়েছে। সকাল থেকে বান্দরবান সদর থানার সামনে থেকে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) প্রচুর সদস্যকে গাড়িতে করে উপজেলা পর্যায়ে অভিযানে অংশ নিতে দেখা যায়।
হঠাৎ করে বান্দরবানের এমন অবস্থায় আতঙ্কিত সাধারণ জনগণ।

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির বান্দরবান জেলার সভাপতি অংচ মং মারমা বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের এমন আচরণে আমরা ভীত, প্রশাসনের উচিত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা এবং পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করে দেওয়া।

এদিকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে নিরাপত্তার কারণে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের লেনদেন কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত থাকায় বান্দরবান জেলা সদরের ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে সোনালী ব্যাংকের বান্দরবান প্রধান শাখায় গ্রাহকের ভিড় এতটাই বেড়েছে যে লাইন মূল সড়কে অনেক গ্রাহককে অবস্থান করতে হচ্ছে।

এদিকে বান্দরবানের বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বান্দরবানের বর্তমান পরিস্থিতি প্রশাসনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন সবার নজরে রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক এ ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযান শুরু হয়েছে এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ঘটনার পর আমরা প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সচেতন করে দিয়েছি এবং যেকোনো ঘটনা মোকাবিলায় সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়েছি।