• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

মুজিববর্ষে সব উপজেলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২০  

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিতে মুজিববর্ষে দেশের উপজেলা অফিসগুলোয় ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। গতকাল বুধবার দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিববর্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসন কাজ করছে। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা, বঙ্গবন্ধুর অবদানকে তুলে ধরা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া ইত্যাদি কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে জনপ্রশাসন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’ তিনি বলেন, ‘উপজেলা অফিসগুলোয় বঙ্গবন্ধু কর্নার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কর্নার থেকে জাতির জনক সম্পর্কে জানা, জাতির জনকের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা ধরনের বই, ইতিহাস নিয়ে লেখা বই, বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য-ভাষণ ইত্যাদি রাখা হবে।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মুজিববর্ষ ঘোষণার পর আমাদের ব্যাপক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আমরা সেভাবে অনেক কিছু করতে পারিনি। কারণ কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পৃথিবীজুড়েই সরকারগুলোকে ভিন্নভাবে কাজ করতে হচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার ধরনও পরিবর্তন হয়ে গেছে। তার পরও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মুজিববর্ষ ঘিরে নানা ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ‘জনমুখী জনপ্রশাসন’, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে রূপকল্প ছিল, সেটি বর্তমান সরকারের রূপকল্পে পরিণত হয়েছে। জনমুখী জনপ্রশাসন অর্থাৎ জনপ্রশাসনের সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। মুজিববর্ষে সরকারের রূপকল্প অনুযায়ী আমরা সব কাজ বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনপ্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে তার প্রত্যাশিত সেবাটি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছি।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা হানা দেওয়ার পর আমাদের মাঠ প্রশাসন আন্তরিকতার সঙ্গে, ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। অনেকে আক্রান্ত হলেও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মানুষকে সচেতন করা, সাধারণ ছুটির সময় মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এই কাজগুলো করেছেন। জনপ্রশাসন আন্তরিকভাবে সরকারের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিনিয়ত জনগণকে সচেতন করা, এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে জীবনমান, আর্থ-সামাজিক অবস্থা যাতে ধরে রাখা যায়, সেই কাজ করেছে। দুই ঈদ উদ্যাপন ছিল আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় না যেতে উৎসাহিত করা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় এই চ্যালেঞ্জগুলো ছিল। জনপ্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা এসব কাজে সফলভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।’ 

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই এগোচ্ছে। বাংলাদেশ যে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সারা বিশ্বে তা একটি রোল মডেল। শেখ হাসিনার সরকারের সব সেবা, সুফল জনগণ ভোগ করছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও নেতৃত্বে এসব কাজকে সামনে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।