• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

এক ফুলকপিতে ১০ মারাত্মক রোগ মুক্তি!

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০  

শীতের সবজি ফুলকপি। নানা ভাবেই ফুলকপি খেয়ে থাকেন সবাই। তবে খেতে অসাধারণ এই সবজিটির রয়েছে অবাক করা স্বাস্থ্যগুণও। যা হয়তো অনেকেরই অজানা।

ক্যান্সার থেকে শুরু করে হৃদপিণ্ডের সুস্থতায়ও এর জুড়ি নেই। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বহুমুখী গুণ সম্পন্ন এই সবজিটির উপকারিতা সম্পর্কে-

১. ফুলকপিতে থাকা কিছু উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফুলকপির সালফোরাফেন ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

২. ফুলকপি হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে বেশ সহায়ক। এর সালফোরাফেন উপাদান রক্ত চাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে। তাছাড়া ফুলকপি ধমনীর ভেতরে প্রদাহ রোধ করতেও সাহায্য করে।

৩. ফুলকপিতে ভিটামিন বি থাকায় তা মস্তিষ্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় এ সবজিটি খাওয়া বেশ উপকারী। কারণ ফুলকপি নবজাতকের মস্তিষ্কের উন্নতি সাধন করতে কাজ করে।

৪. শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখাতে অবশ্যই প্রয়োজন সঠিক পরিমাণের পুষ্টি। যা ফুলকপিতে ভরপুর থাকে। ফলে নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়।

৫. নিয়মিত ফুলকপি খেলে শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণ হয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়া ভিটামিন কে, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার ভিটামিন বি৬, ফলেট, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজেরও ভালো উৎস ফুলকপি।

৬. শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে ফুলকপি। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার।

৭. এক গবেষণায় জানা গেছে, ভয়াবহ ফুসফুস রোগের জন্য যেসব কারণ দায়ী তা প্রতিরোধে ফুলকপি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালীর যে ক্ষতি হয়, ফুলকপি তা প্রতিরোধেও সহায়তা করে। এছাড়া ফুলকপি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

৮.ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের ক্ষতিকর উপাদান পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।

৯. ফুলকপিতে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি থাকায় চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এমনকি দেহের কোথাও কেটে গেলে ফুলকপির কচি পাতার রস লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

১০. ফুলকপি চুলকানি প্রতিরোধ করতে সহায়ক। শীতকালে ঠাণ্ডায় ত্বকে লালচে হয়ে ফুলে যাওয়া এবং চুলকানি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ফুলকপির কচি পাতা বেটে লাগালে চুলকানি ভালো হয়ে যায়।