• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী ও বিকেএসপিকে ধন্যবাদ দিলেন আকবর আলীর বাবা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

আকবর আলীর ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ের কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশ। ছেলের এমন সাফল্যে যারপরনাই খুশি আকবর আলীর বাবা মোহাম্মদ মোস্তফা ও মা সাহিদা বেগম। আকবরের বাবা ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিকেএসপিকে। যারা আকবর আলীকে ফ্রি পড়াশুনা করার সুযোগ দিয়েছেন।  

আকবরের বাবা বলেছেন, ‘আকবর আলীর বিকেএসপিতে লেখাপড়ার খরচ চালানোর মত সামর্থ্য ছিল না আমার। ক্লাস সেভেনে বিকেএসপিতে ভর্তি হয় আকবর। সেভেনেই ভাল ফল করে। তখন বিকেএসপি তার লেখাপড়ার খরচ ফ্রি করে দেয়। সেখান থেকে বিনা পয়সায় ইন্টার মিডিয়েট পাশ করে। আকবর খুব কষ্ট করে এত দূর এগিয়েছে। আমার কাছে টাকা পয়সার জন্য কখনো আবদার করেনি।  নিজের খরচ নিজে চালিয়েছে।’ তিনি বিএকএসপি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিকেএসপি যদি সহায়তা না করতো তাহলে আকবর আজ ক্রিকেটার হতে পারত না।’

আকবর আলীর বাবা আরো জানান, তাদের পরিবারের জন্য সবচেয়ে দুঃখের বিষয় ছিল গত ২২ জানুয়ারি আকবর আলীর বড় বোন রানীর মৃত্যু। সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। এ খবর পরিবারের পক্ষ থেকে না জানালেও আকবর আলী সুদূর আফ্রিকায় বসে ২৪ জানুয়ারি জানতে পারেন। বোনের মত্যুর খবরে ভেঙে না পড়ে দেশের স্বার্থে খেলা চালিয়ে গেছেন।

আকবরের পিতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষক। আশা করছি বিশ্বকাপ জয়ী এই ছেলেদের প্রধানমন্ত্রী দেখবেন। আমার ছেলে একদিন জাতীয় ও টেস্ট দলে সুযোগ পাবে এবং দেশের জন্য আরো সুনাম বয়ে আনবে এটা আমার বিশ্বাস।’ 

মা সাহিদা বেগম বলেন, ‘আমার বড় ছেলে মুরাদ ক্রিকেট খেলত। কিন্তু সে বেশিদূর এগোতে পারেনি।  ছোট ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম সে যাতে বড় ক্রিকেটার হয়। আল্লাহ আমার স্বপ্ন পূরণ করেছে। দেশের জন্য সন্মান এনে দিয়েছে। এ জন্য আমি গর্বিত।’

আকবর ২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রংপুর জিলা স্কুল মাঠে ক্রিকেট অনুশীলন করেন অসিম মেমোরিয়াল ক্রিকেট একাডেমিতে। পরে ঢাকায় বিকেএসপিতে ভর্তি হন। এক সময় বাংলাদেশ যুব দলের দায়িত্ব পান। আর রোববার রাতে তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতে নেন।