• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

রমজানের আগে নবীজি যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৪  

শাবান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই মাসের পরপরই শ্রেষ্ঠ মাস রমজানের আগমন। এই মাসের বিভিন্ন ফজিলত ও আমল রয়েছে। নবীজি এ মাসে একটি দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। রসুল সা. রজব ও শাবান মাসব্যাপী বেশি বেশি বরকত হাসিলের দোয়া করতেন। রমজান মাসে ইবাদত করার সুযোগ প্রার্থনা করতেন। তিনি এ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন।

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান
 
অর্থ: হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমজান আমাদের নসিব করুন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৫৯)

রমজান মাস- যে মাসে কুরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য (আদ্যোপান্ত) হিদায়াত এবং এমন সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী সম্বলিত, যা সঠিক পথ দেখায় এবং (সত্য ও মিথ্যার মধ্যে) চূড়ান্ত ফায়সালা করে দেয়। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন এ সময় অবশ্যই রোজা রাকে।

আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য দিনে সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের পক্ষে যা সহজ সেটিই চান, তোমাদের জন্য জটিলতা চান না, এবং (তিনি চান) যাতে তোমরা রোজার সংখ্যা পূরণ করে নাও এবং আল্লাহ তোমাদেরকে যে পথ দেখিয়েছেন, সেজন্য আল্লাহর তাকবির পাঠ করো এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সূরা বাকারা: আয়াত-১৮৫)
 
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন, اِنَّاۤ اَنْزَلْنٰهُ فِیْ لَیْلَةٍ مُّبٰرَكَةٍ اِنَّا كُنَّا مُنْذِرِیْنَ আমি এটি (অর্থাৎ কুরআন) নাজিল করেছি এক মোবারক রাতে। (কেন না) আমি মানুষকে সতর্ক করার ছিলাম। (সূরা দুখান: আয়াত-৩)
 
অধিকাংশ আলেমের মতে উক্ত আয়াতে  দ্বারা শবে কদর বুঝানো হয়েছে। তাদের কথার প্রমাণ পাওয়া যায় সূরা কদরের শুরু আয়াত দ্বারা। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, اِنَّاۤ اَنْزَلْنٰهُ فِیْ لَیْلَةِ الْقَدْرِ নিশ্চয় আমি এটি (অর্থাৎ কুরআন) শবে কদরে নাজিল করেছি। (সূরা কদর: আয়াত-১)

উক্ত দুটি আয়াতে পবিত্র কুরআনুল কারিম শবে কদরে নাজিল হয়েছে প্রমাণিত। আর প্রথম আয়াত দ্বারা পবিত্র কুরআনুল কারীমের মাস রমজান সেটি প্রমাণিত। (তাফসিরে ইবনে কাসির: খ. ৭, পৃ. ২৫৫) সুতরাং পবিত্র কুরআনুল কারীমের মাসে শবে কদর হওয়ায় রমজান মাসটির শ্রেষ্ঠত্ব আরও বেড়ে যায়।