• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

শপথ করে যে ৩ সত্যের কথা বললেন নবিজি (সা.)

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

আবু কাবশাহ আল আনমারি (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছেন, এমন তিনটি বিষয় আছে যার সত্যতার ব্যাপারে আমি শপথ করতে পারি। আমি আপনাদের সামনে আরও একটি বিষয় বলবো, তাও ভালোভাবে স্মরণ রাখবেন। যে ৩ সত্যের ব্যাপারে আমি শপথ করছি তা হলো,

১. সদকা করার কারণে কোনো বান্দার সম্পদ কমে যায় না।

২. যে নির্যাতিত বান্দা নির্যাতনের শিকার হয়ে ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তা’আলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।

৩. যে বান্দা ভিক্ষার দরজা খোলে, আল্লাহ তাআলা তার অভাব ও নিঃস্বতার দরজা খুলে দেন।

তারপর আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আরেকটি বিষয় আপনাদের বলবো, ভালোভাবে মনে রাখবেন। দুনিয়ার মানুষ চার শ্রেণীর হয়:

১. এক শ্রেণীর মানুষকে আল্লাহ সম্পদ ও জ্ঞান উভয়টি দান করেছেন, তারা তা ব্যয় করার ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করে; আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে এবং আল্লাহর হকের ব্যাপারে জেনে সে অনুযায়ী খরচ করে। এ শ্রেণীর মানুষ সর্বোত্তম।

২. আরেক শ্রেণীর মানুষকে আল্লাহ জ্ঞান দান করেছেন, সম্পদ দেননি। তবে তারা এ নিয়ত রাখে এবং বলে, যদি আমার ধন-সম্পদ থাকত তাহলে আমি অমুকের মতো নেক কাজে ব্যয় করতাম। তারা প্রথম শ্রেণীর মানুষের মতোই সাওয়াব লাভ করবে।

৩. কিছু মানুষকে আল্লাহ ধন-সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু জ্ঞান দান করেননি। জ্ঞান না থাকায় সে নিজের সম্পদের ব্যাপারে স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত হয়, আল্লাহকে ভয় করে না। আত্মীয়স্বজনদের হক আদায় করে না এবং নিজের সম্পদ সঠিক পথে খরচ করে না। এ রকম মানুষ সবচেয়ে নিকৃষ্ট।

৪. আর কিছু মানুষের সম্পদও নেই, জ্ঞানও নেই। তারা আকাঙ্ক্ষা করে, যদি আমার কাছে সম্পদ থাকত, তাহলে আমি ওই ব্যক্তির মতো (তৃতীয় শ্রেণীর মানুষের মতো) খরচ করতাম। এ রকম মন্দ নিয়তের কারণে গুনাহের ক্ষেত্রে তারা তৃতীয় শ্রেণীর মানুষের সমান হয়ে যায়।