• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

করোনা: সরকারকে চাপে ফেলতে ফের তৎপর বিএনপি-জামায়াতপন্থী ব্যবসায়ীরা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২০  

চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার যখন নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে, তখন বিএনপি-জামায়াত চক্র মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই চক্রের ব্যবসায়ীরা সরকারকে চাপে ফেলতে বাজারে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দ্বিগুণ দামে কিনছে এসব পণ্য, করছে চাহিদার তুলনায় মজুদও।

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে যে কোন উপায়ে চাপে ফেলতে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-বিএনপি চক্র। তারা নানামুখী অপপ্রয়াস চালিয়ে দেশের জনগণ ও বহির্বিশ্বের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর জানতে পেরে তারা রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র করোনা প্রতিরোধক পণ্য (মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার) সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সেই দায় সরকারের উপর বর্তানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছে। করছে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিও। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে এই অপপ্রয়াসে লিপ্তদের অনেককেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক ও জরিমানা করা হয়েছে। যাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিতে দেখা গেছে, সিংহভাগই জামায়াত-বিএনপির সমর্থক এবং সক্রিয় নেতা-কর্মী। আরও আশ্চর্যজনক তথ্য হচ্ছে, রাজধানীতে যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন, তারা সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের হয়ে প্রচারণা কাজ চালিয়েছেন। যার সত্যতা স্থানীয়রাই নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপিপন্থী একাধিক ব্যবসায়ী নেতা জানান, তারা পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন-তা তাদের নিজস্ব নয়। লন্ডন থেকে এই নির্দেশনা এসেছে। তবে সরাসরি আসেনি। এসেছে প্রথমে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর কাছে। পরে তিনি তার বাসায় এক জরুরি মিটিং ডেকে ব্যবসায়ীদের ব্রিফিং করেছেন। এরপর থেকেই বিএনপি ও ২০ দলের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বর্তমানের এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, সরকার একটি বিশেষ বর্ষ উদযাপনের ব্যস্ততায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা নিজেদের অপারগতা ঢাকতে ‘উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে’ চাপাচ্ছেন, দুষছেন বিএনপিকে। যার কোন মানে হয় না।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত বলেন, সুযোগ নিয়ে মানুষের সর্বস্ব লুট করার অভ্যাস বিএনপির আজকের নয়, অতি পুরনো। তারই ধারাবাহিকতায় তারা করোনাভাইরাস ইস্যুতেও বাণিজ্য শুরু করেছে। গলাকাটা মূল্যে মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে। প্রকাশ করছে লুটপাটের রাজনৈতিক মতাদর্শ। সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণ সম্মিলিতভাবে তাদের এই অপপ্রয়াস রুখে দিতে তৎপর অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে এই অপকর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।