• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মাইক্রোবাসসহ গ্রেপ্তার ৬

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৪  

মাদারীপুরের রাজৈরে ভুয়া ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার ঘটনায় একটি মাইক্রোবাসসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম।

অপহরণ চক্রের গ্রেপ্তারকৃত সদস্যরা হলে হলেন, পিরোজপুরের কাউখালী উপজেললার ডুমজুরি গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদার (৩২), একই গ্রামের আলতাব খানের ছেলে তালেব খান (২৯), মুনসুর আলী গাজীর ছেলে সবুজ গাজী (৪০), চিলপাড়া গ্রামের ছালে শরীফের ছেলে মিরাজ শরীফ (৩৫), বড় বিড়ালঝুড়ি গ্রামের আল আকবর হাওলাদারের ছেলে খাইরুল ইসলাম হাওলাদার (৩৮), পাড় সাতুরিয়া গ্রামের রুহুল আমিন খলিফার ছেলে রুবেল খলিফা (৪৫)। বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যকে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের পাইকারী কাপড় কিনতে আসেন পাশবর্তী জেলা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী কাজল ভুঁইয়া। বাসস্ট্যান্ড থেকে নেমে টেকেরহাট বন্দরে প্রবেশের সময় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি পুলিশ) পরিচয় দিয়ে তাকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তোলা হয়। পরে ওই ব্যবসায়ীকে ব্যাপক মারধর করেন অপহরনকারীরা। একপর্যায়ে মুঠোফোনে অডিও বার্তা পাঠিয়ে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি।

পরে কাজলের পরিবার রাজৈর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোলাপগঞ্জের মুকসুদপুরের দক্ষিণ গঙ্গারামপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত ব্যবসায়ীকে। এ সময় অপহরণকারী চক্রের ৬ সদস্যকে আটকের পাশাপাশি ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী কাপড় ব্যবসায়ী কাজল ভুঁইয়া বলেন, ‘টেকেরহাট বন্দর থেকে আমাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তারা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। আমি চিৎকার-চেচামেচি করলে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। আমি মাইক্রোবাসের মধ্যে আতঙ্কে ছিলাম। কথা বললেই ওরা মারধর শুরু করতো। হঠাৎ দেখি পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’

এ সম্পর্কে মাদারীপুরের অতিরিক্ত সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই ও অপহরনের কাজে লিপ্ত ছিল। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।  প্রাথমিক পর্যায়ে ৬ জন গ্রেপ্তার করা হলেও এই চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কাপড় ব্যবসায়ী কাজল ভুঁইয়া বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুজনের নামে রাজৈর থানায় একটি মামলা করেছেন।’