• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মুরগীর রক্ত নিজের শরীরে মেখে মামলা করতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ধরা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মুরগী কেটে সেই রক্ত নিজের মুখে মেখে অন্যকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য আদালতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ধরা পড়লেন জুলেখা আক্তার নামে এক নারী। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত তাৎক্ষনিকভাবে জুলেখাকে কারাদন্ড দিয়েছেন।

মামলার এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর টেকেরহাট গ্রামের সোহেল বেপারীর স্ত্রী জুলেখা আক্তার প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য গত মঙ্গলবার মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এর আদালতে উপস্থিত হন। আদালতে জুলেখা মিথ্যা মামলার বিবরণ দিতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন। এই বিষয়টি আজ শনিবার বিকালে জানাজানি হয়। জুলেখা প্রতিপক্ষ মাসুদ বেপারীসহ চারজনকে ফাঁসানোর জন্য পেনাল কোডের ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৩৮০/৫০৬/৩৪ ধারায় মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এর আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য উপস্থিত হন। এ সময় মামলার বাদী মিথ্যা ঘটনা লিপিবদ্ধ করেন এবং রক্ত মাখা ছবি আদালতে দাখিল করেন। এ সময় মামলার বাদী জুলেখার কথা-বার্তা বিচারকের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে বিচারক বাদীর কাছে হাসপাতালের চিকিৎসার কাগজপত্র দেখতে চান, বাদী হাসপাতালের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিচারকের কাছে এক পর্যায়ে ঘটনা সাজানো মনে হলে তাকে দন্ড প্রদান করেন।
মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত ) মো. আল মামুন বলেন, জুলেখা আক্তার নামে এক নারী বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়ের করতে আসেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের কাছে মামলার ঘটনা সন্দেহজনক মনে হলে বিচারক ওই নারীকে দোষী সাব্যস্ত করে এক হাজার টাকা অর্থ দন্ড অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে করেন। মামলার আদেশের পরে মামলার বাদী দোষস্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন এবং আদালতের আদেশ অনুযায়ী জুলেখা সরকারি কোষাগারে এক হাজার টাকা জমা দেন। পরে আদালত তাকে মুক্তি প্রদান করেন।