• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

শেখ হাসিনা আবার এই সংসদে পবিত্রতা ফিরিয়ে এনেছে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪  

মাদারীপুর প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, পৃথিবীর অনেক বড় বড় দেশে যে বড় বড় শক্তি, যাদের নাম শুনলে অনেক দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা ভয় পেতো এবার সরাসরি বিরোধীতা করার পরেও শেখ হাসিনাকে এক ইঞ্চিও সরাতে পারেনি। বরং এই নির্বাচনে একটি অর্জন কিন্তু আমাদের হয়েছে। যেটা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল। যে দেশটা আমরা চেয়েছিলাম তা হলো এই দেশের সংসদে সরকারী দল বলেন আর বিরোধী দল বলেন যারাই রাজনীতি করবে সবাই এক জায়গায় এক থাকবে সেটা হলো সবাই আমরা স্বাধীনতার পক্ষের থাকবো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে সেই জায়গাটা নষ্ট করা হয়েছে। সংসদকে অপবিত্র করা হয়েছে। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে গুরুত্বপূর্ন জায়গায় বসানো হয়েছে। অপমানিত করা হয়েছে এদেশের সমাজ, রাষ্ট্র সব কিছুকে। এই নির্বাচনে অনেক বছর পর সেই জায়গা থেকে আমরা সরে আসতে পেরেছি। আমার মনে হয় এই সংসদে এখন আর কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। স্বাধীনতার বিপক্ষের কেউ নেই। শেখ হাসিনা আবার এই সংসদে পবিত্রতা ফিরিয়ে এনেছে। তিনি কিভাবে করেছেন সেটা তিনিই জানেন। তিনি আমাদের ক্যাপ্টেন। আমরা শুধু তার নির্দেশ পালন করবো। তিনি তার টার্গেটে যাচ্ছেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। আমি দেখেছি এখন এই সংসদে একটি রাজাকারপুত্রও নেই। এখন এই সংসদের পক্ষের এবং বিপক্ষের শক্তি সকল শক্তি এখন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। আমরা আশা করি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে আমরা এগিয়ে নিতে পারবো।
মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসন ক্রোকচর যদুবাড়ি লোকনাথ ব্রক্ষচারী মন্দিরের নাট মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ হুইপ এসব কথা বলেন। পরে চীফ হুইপ শিবচর পৌরসভার কালী বাড়ি মন্দিরের ৫৬ তম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানগুলোতে মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার , শিবচর পৌরসভার মেয়র মো: আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো: রব্বানী, ওসি সুব্রত গোলদার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শুভাশিস বিশ্বাস সাধন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব দে, গন-সংযোগ বিষয়ক সম্পাদক বিনয় কুমার ঘোষ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি স্বপন রায়, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রশান্ত কুমার রাহা, সাধারন সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক শংকর ঘোষ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দ্বিতীয় এক বঙ্গবন্ধু রুপ ধারন করেছে। তিনি ক্ষমতায় না গেলে এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে এটা আমরা আজ থেকে দশ বছর আগে কেউ ভাবতেও পারিনি। আমরা বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার করতে পারবো এটাও ভাবতে পারিনি। আপনারা হয়ত দূর থেকে দেখেছেন কিন্তু আমিতো সংসদে বসে তাদের (যুদ্ধাপরাধীদের) সেই অহংকার, তাদের সেই ভাবমূর্তি, স্বাধীনতা বিরোধী মন্ত্রীদের যে কি দাপট তা খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। আমরাও ভাবিনি এই মানুষগুলোর এই যে অহংকার, বঙ্গবন্ধুকে খুন করার অহংকার, স্বাধীনতার বিপক্ষে থাকার অহংকার যে গাম্ভির্য ছিল তা কিন্তু ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।