• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

কুড়িয়ে পাওয়া ৭ লাখ টাকা ফেরত দিলেন পাম্প অপারেটর

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২৩  

রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারে কুড়িয়ে পাওয়া সাত লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন কাইয়ুম নামের এক পাম্প অপারেটর। পুলিশের মধ্যস্থতায় হারানো টাকা ফেরত পেয়ে আপ্লুত হয়েছে টাকা হারানো ব্যক্তি।
পুলিশ বলছে, ভবিষ্যতের জন্য এ ঘটনা একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তবে এভাবে মোটরসাইকেলের পেছনে টাকা বহন না করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের তার দোকান থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন ঐ ব্যক্তি। বেলা পৌনে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে হানিফ ফ্লাইওভারের কুতুবখালী প্রান্তের টোল প্লাজা অতিক্রম করেন তিনি। এরপর হঠাৎ তার মনে হয় পেছনে থাকা ব্যাগটি নেই। মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে তিনি যেদিক থেকে এসেছেন, সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা লোকজন তাকে বাধা দেন। কারণ এভাবে যাওয়ার নিয়ম নেই। টাকার ব্যাগ খুঁজে না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

এদিকে ঐ একই ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী থানার ওপরের অংশে টাকাসহ ব্যাগটি সেদিনই কুড়িয়ে পান কাইয়ুম নামে আরেক মোটরসাইকেল আরোহী। তিনি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) একজন পাম্প অপারেটর। টাকার ব্যাগ পাওয়ার পর তিনি কিছুক্ষণ অপেক্ষাও করেন। তিনি টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা লোকজনের কাছে গিয়ে জানতে চান, কোনো কিছু হারানোর বিষয়ে তারা অবগত কিনা? তারা জানান, একজনের সাত লাখ টাকা হারানোর অভিযোগ আছে। ব্যাস, আর যায় কোথায়! মিলে যায় হিসাব।

কাইয়ুম বলেন, এতগুলো টাকা হারিয়ে একটা লোক বিপদগ্রস্ত হতে পারে। আমার ১০ হাজার হারালে তো আমি ঘুমাতেই পারতাম না! বিষয়টি চিন্তা করেছি। এছাড়া আমি আরও ভেবেছি যে, এ টাকাটা খাওয়া আমার জন্য ঠিক হবে না। তাই অনেকের সঙ্গে পরামর্শ করে টাকাটা কুড়িয়ে পাওয়ার পরদিন বুধবার ডিএমপিতে টাকাটা জমা দিই।  

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদর দফতরে সব শোনার পর টাকা হারিয়ে যাওয়ার সাধারণ ডায়েরির সঙ্গে মিলিয়ে ডাকা হয় প্রকৃত মালিককে। পরে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় টাকাগুলো।
 
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এভাবে মোটরসাইকেলের পেছনে টাকা বহন না করাই ভালো। প্রতারণা, চুরি ও ডাকাতির ঊর্ধ্বে উঠে সত্যিকারের মানুষ হয়ে যেন উঠতে পারে, সেটাই চাওয়া। সবার মধ্যে যেন কারো টাকা মেরে না খাওয়ার মানসিকতার বিকাশ ঘটে।