• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আম পাল্টে দিয়েছে শিক্ষার্থীর জীবন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০  

করোনাভাইরাসের এই সময়ে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কয়েক মাস ধরে নিজ বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। যাদের অনেকেই অলস বসে না থেকে জড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন কাজ কর্মে। 

বর্তমান আম মৌসুমে অনেকের পাশাপাশি আম পাড়া, পরিবহন ও অনলাইনে অর্ডার নিয়ে সরবরাহের কাজ করছেন ছাত্ররা। নিজের হাত খরচের টাকা বাঁচিয়েও সংসারের প্রয়োজনে মা-বাবাকেও সহযোগিতা করছেন তারা।

সরেজমিন বাগান ঘুরে দেখা যায়, যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও রয়েছেন। উপজেলার পিরগাছা গ্রামের কমল উদ্দিনের বাগানে কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে যোগ দিয়ে কাজ করছিলেন হোসেন আলী নামের একজন শিক্ষার্থী। তার বাড়িও এই পিরগাছা গ্রামেই। 

তিনি পিরগাছা-তেঁথুলিয়া ভোকেশনাল অ্যান্ড টেকনিক্যাল কলেজের বিএম শাখার ছাত্র। এ বছর আম পাড়ার কাজসহ বাবার ভ্যানে আম পরিবহন করে প্রতিদিন আয় করছেন ৫০০ টাকা। 

আড়পাড়া গ্রামের অরুণ কুমার সরকারের বাগানে আম ব্যাগিংয়ের কাজ করছিলেন ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সম্মান শ্রেণির ছাত্র মুন্না আজিজ। তার বাড়িও এই আড়পাড়া গ্রামেই। 

 

 

একই কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী সাইদুর ইসলামকে পাওয়া যায় নওটিকা এলাকায় বগার আম বাগানে। তার সঙ্গে বাগানে কাজ করছিলেন বাঘা উপজেলার শাহদৌলা সরকারি কলেজের বিএ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আশিক আহম্মেদ। 

দিঘা গ্রামের আরেক শিক্ষার্থী সেলিম হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে মাসের পর মাস বাড়িতে বসে আছেন। বাবাকেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই অলস সময় না কাটিয়ে আমের এই মৌসুমে বাগানে বাগানে কাজ করছেন। এতে নিজের উপার্জিত হাত খরচের টাকা রেখে, মা-বাবাকেও দিতে পারছেন। 

তাদের মতো মৌসুমি আমের এই সময়ে কাজে যুক্ত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থীই। প্রতিবছরই তাদের মতো অনেকেই আমের মৌসুমে বাগানে কাজ করে আয় করেন। আম বাগানে কাজ করে একেক জন প্রায় ২০ হাজার টাকা আয় করেছেন। 

বাগান মালিকের কাজ বুঝে কয়েকজন ছাত্র এক সঙ্গে বিভিন্ন বাগানে কাজ করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারও একেকজন  ২০ হাজার টাকার মতো আয় করতে পারবেন। 

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, আম পাড়া, পরিবহন ও অনলাইনে অর্ডার নিয়ে সরবরাহের কাজ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে ছাত্ররা। অপরদিকে ছুটির মধ্যে কাজে সময় পার করায় নিজেদেরকেও সার্বিকভাবে ভালো রাখতে পারছে শিক্ষার্থীরা।