• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

পেশায় যাই হোক ‘তিনি’ পৃথিবীর সেরা ‘বাবা’

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২০  

 

বাবা, দুই অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এই শব্দের বিশালতা সীমাহীন। কারণ বাবা মানেই বটবৃক্ষের ছায়া আর তীব্র রোদে শান্তিদায়ক ছাতা। বাবা মানেই গভীর অন্ধকারে পথ দেখানো দৃশ্যমান এক আলোকরশ্নি। বাবা মানেই এগিয়ে চলার প্রেরণা। বাবা মানেই আবদারের এক অফুরন্ত ভান্ডার। সব মিলিয়ে বাবা অদ্ভুত এক চরিত্র। 

মায়ের বকুনির ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো সন্তানের একমাত্র আশ্রয়স্থল থাকেন এই বাবা। বাবা এমন এক শব্দ, এমন এক সম্পর্ক যা কাছে থেকে উপলব্ধি করা কঠিন, একটু আড়াল হলেই বোঝা যায় বাবার মাঝে লুকিয়ে থাকা অদ্ভুত এক মায়াবি প্রকাশ।

বাবা মানেই এক অন্য মানব, যার কাঁধটা অন্য সবার চেয়ে একটু বেশিই চওড়া। আর তাই সংসারের সমস্ত বোঝা তিনি অবলীলায় বয়ে বেড়ান। বাবা সত্যিই অদ্ভুত, কারণ তার পা দুটো অন্য সবার চেয়ে একটু দ্রুতই চলে, তা না হলে কেমন করে এত বাঁধা বিপত্তি সত্বেও দ্রুত সামনে এগিয়ে চলেন তিনি?

বাবা মানেই পাগলামো মাখা মানবদেহ, কারণ পাগল না হলে, কি করে, খেয়ে, না খেয়ে, সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করেও হাসিমুখে ঘুরে বেড়ান?বাবা শত শত সাধারণের মাঝেও অসাধারণ হয়ে ওঠা মানবপিন্ড, যার শেষ মুহুর্তটুকু দিয়েও সন্তানকে ভালোবেসে যান অকাতরে। বাবারা সূর্য হন। নিজেদের সবসময় জ্বেলে রেখে, জ্বালিয়ে রেখে শত অন্ধকার থেকে আমাদের আগলে রাখেন। বাবারা আকাশ হন। যে আকাশের নিচে আমরা একটু একটু করে বড় হই, যে আকাশ আমাদের কাছে ভরসার একমাত্র জায়গা, যে আকাশকে দেখে আমরা লড়াই করতে শিখি।

সন্তান বাবার মর্মার্থ্য তখনই বেশি উপলব্ধি করেন যখন সে নিজে বাবা হন। তবু্ও বাবাদের আমরা ভুল বুঝি, আড়ালে বকা দেই, এড়িয়ে চলি। সব সহ্য করে বাবারা অভিনয়টা চালিয়ে যায়। এই হলো আমাদের অভিনেতা বাবা। বাবাদের কোনো চাহিদা নেই, তাদের পেশা যেটাই হোক না কেন তাদের কোনো স্বার্থ নেই। কারণ এটি রক্তের সাথে রক্তের টান। স্বার্থের অনেক উর্ধ্বে।