• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

অর্থনীতিতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২৩  

১৯৫০ সালের ১লা ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে সুন্দরবনের পাশে পশুর নদী পাড়ে গড়ে ওঠে মোংলা সমুদ্র বন্দর। প্রথমে চালনা বন্দর নামে পরিচিত হলেও সময়ের পরিক্রমায় এটির নাম হয় মোংলা সমুদ্র বন্দর। এক সময়ের মৃত প্রায় বন্দরটি ৭৩ বছর পেরিয়ে এখন দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনার এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। দীর্ঘ সময়ের চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মোংলা বন্দর উদযাপন করলো ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দরে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি করপোরশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এর আগে রাত ১২টা এক মিনিটে রাত বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি সব জাহাজে এক মিনিট বিরতিহীন হুইসেল বাজানো হয়।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয় এক আলোচনা সভা। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এসময় সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, এক সময়ের মৃত বন্দর আজ বিশ্বের দরবারে একটি আর্ন্তজাতিক মানের বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় মোংলা বন্দরকে আরও আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যা এখন চলমান রয়েছে।  বন্দরের পশুর চ্যানেল নাব্যতা রক্ষায় আউটারবার ড্রেজিং শেষ করে এখন ইনার বার ড্রেজিং চলছে। এছাড়াও কার্গো ও কন্টেইনার সংরক্ষণের সুবিধাদি বৃদ্ধি এবং আধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কাজ চলছে।  

রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, মোংলা বন্দরে চলমান চ্যানেল ড্রেজিং-এর ফলে সম্প্রতি ৬০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বন্দরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি মানা’ সরাসরি মোংলা বন্দরে আগমন করে। এছাড়াও বন্দর জেটিতে ৮.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এ বন্দর। তাই মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল বন্দরে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য এবং অচল বন্দরকে সচল ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আরও সহনশীল হয়ে কাজ করতে হবে।