• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

ঋণ নিয়ে নয়ছয় করলে কঠোর শাস্তি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২১  

ঋণ বিতরণ ও ব্যবহারে অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখী হতে হবে। এ কারণে এখন থেকে ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত কিস্তি আদায় করতে হবে। কোনো ঋণে বড় ধরনের অনিয়ম পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে।

এ বিষয়ে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ নিয়ে বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ খাতে তদারকি জোরদার করেছে। এ কারণেই সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে।

এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর্থিক খাতের অনিয়মগুলো শনাক্ত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে। এসব বিষয়ে এখন কাজ চলছে। ঋণ জালিয়াতির কারণে পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের অর্থ সংকটে পড়েছে। তারা আমানতকারীদের অর্থও ফেরত দিতে পারছে না।

এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সমালোচনার মুখে পড়েছে। এসব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক খাতে তদারকি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্য তদারকির আওতায় প্রচলিত নিয়মনীতিতেও বেশ কঠোরতা আরোপ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়-আর্থিক খাতে ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত না হলে তা পুরো খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একই সঙ্গে সুশাসনকে বাধাগ্রস্ত করে। এ লক্ষ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিতরণ করা লিজ বা ঋণের অর্থ নির্দিষ্ট খাতেই বিতরণ করতে হবে। অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না। ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মিত তদারকি কার্যক্রম চালাতে হবে। একই সঙ্গে তদারকি জোরদার করতে হবে। এক প্রকল্পের ঋণ নিয়ে অন্য কোনো প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করা যাবে না।

অর্থাৎ ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ করা যাবে না। কিস্তিভিত্তিক প্রকল্পের ঋণ আগের কিস্তির অর্থ যথাযথ ব্যবহার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে পরের কিস্তির অর্থ ছাড় করতে হবে। এ খাতের ঋণ অন্য খাতে ব্যবহারের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঋণের ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং তদারকির বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ঋণ নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এ লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন ঋণ গ্রহীতার নথিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে কোনো অনিয়ম থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঋণের সদ্ব্যবহার সম্পর্কিত কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে তা তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে।

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এক খাতের নামে ঋণ নিয়ে অন্য খাতে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। কিন্তু কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এসব অর্থের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এক প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে তা অন্য খাতের ঋণ পরিশোধ করা বেআইনি। কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনেক গ্রাহক এমন কাজ করেছেন। ফলে যে প্রকল্পে ঋণ নিয়েছেন তা খেলাপি হয়ে গেছে।

এসব কারণে এমন কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। ঋণের কিস্তির পুরো সদ্ব্যবহার হলেই অন্য কিস্তি ছাড় করার নিয়ম। কিন্তু কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম মানেনি। ফলে জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়া পুরো ঋণই এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এসব কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মূলধন ঘাটতি বেড়ে গেছে।