• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

অভিযানের খবরে দোকান ফেলে পালিয়ে গেলেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩  

পাবনায় পেঁয়াজের বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় দুটি বাজারের ৬টি পাইকারি আড়তের  ৬ ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, আমদানি বন্ধ হওয়ায় হঠাৎ করেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়ীরা খুচরা বাজারে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছিলেন। পাইকারি হাটেও হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।

শনিবার সকালে বনগ্রাম হাটে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজের আমদানি ছিল কম। এর কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, গত তিন দিনের বৃষ্টি। বৃষ্টির জন্য ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে পারেননি চাষিরা। এতে হাটে পেঁয়াজ কম থাকায় চাষি ও বাধাইকারকরা দাম বাড়িয়ে দেন। সকাল ৭টার দিকে ব্যাপারীরা প্রতিমণ পেঁয়াজ কেনেন নয় হাজার টাকা দরে। এরপর পেঁয়াজের আমদানি দ্রুত বাড়তে থাকে। ব্যাপারীরা তখন দর কমিয়ে দেন। সকাল ৯টার দিকে পুরোনো পেঁয়াজ (হালি পেঁয়াজ) বিক্রি হয় সাত হাজার টাকা দরে। আর নতুন মূলকাটা বা মুড়ি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতিমণ পাঁচ-ছয় হাজার টাকা দরে।

স্থানীয় চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোরে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা শুনে চাষি ও বাধাইকারকরা গাড়ি ভরে পেঁয়াজ নিতে থাকেন হাটে। এতে দ্রুতই পেঁয়াজে হাট ভরে যায়। তখন ব্যাপারীরা দাম কমিয়ে দেন।

জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, আমদানি বন্ধ হওয়ায় হঠাৎ করেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়। তার প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার সিঙ্গা বাজার ও শহরের বড় বাজারের পাইকারি আড়তে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে দেখা যায়, ১০৫ টাকায় কিনে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছিলেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে ৬ আড়তের ৬ জন পাইকারি ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে, অভিযানের খবর পেয়ে বেশ কিছু খুচরা ব্যবসায়ী দোকান ফেলে পালিয়ে যান। পরে সব পেঁয়াজ উপস্থিত ক্রেতাদের মাঝে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর পাবনার সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি জানান, জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।