• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

মাজারের দানবাক্সে মিলল স্বর্ণ-বৈদেশিক মুদ্রা ও ২৪ লাখ টাকা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৩  

মাজারের দানবাক্সে মিলেছে স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ লাখ লাখ টাকা। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বগুড়ার শিবগঞ্জে মহাস্থানগড়ে অবস্থিত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখীর (রহ.) মাজারের নয়টি দানবাক্সের টাকা গণনার কাজ চলে।
দুইদিন গণনা শেষে ২৩ লাখ ৮২ হাজার ২৯৬ টাকা ছাড়াও ১৮টি স্বর্ণের নাকফুল, স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহাস্থান মাজারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান।

মহাস্থান মাজার কমিটির সভাপতি ও বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তারের নির্দেশে দানবাক্সের টাকা বস্তায় ভরে গণনার জন্য মহাস্থান মাজার মসজিদ কার্যালয়ে নেয়া হয়। এ কাজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিব।

প্রথম দিনে নয়টি দানবাক্সের মধ্যে ছোট আকৃতির সাতটি দানবাক্স খোলা হয়। এই সাতটি দানবাক্সে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৬১৫ টাকা পাওয়া যায়। পর দিন বৃহস্পতিবার খোলা হয় বড় দুটি দান বাক্স। সেখানে মেলে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮১ টাকা।

এ টাকা গণনার কাজে অংশ নেন মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০ জন ছাত্র এবং মহাস্থান অগ্রণী ব্যাংক শাখার ১২ জন কর্মকর্তা ও মাজারে কর্মরত ১০ জন কর্মচারী। গণনা শেষে ২৩ লাখ ৮২ হাজার ২৯৬ টাকা ছাড়াও ১৮টি স্বর্ণের নাকফুল, স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।

মহাস্থান মাজারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, মাজার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন মাস পর পর দানবাক্স খোলার কথা থাকলেও, এবার সাড়ে চার মাস পর খোলা হলো। সর্বশেষ গত ১৬ জুলাই সিন্দুকগুলো খুলে দুই দিনব্যাপী গণনা শেষে ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এর আগে, গত মার্চ মাসে সিন্দুক খুলে ২৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়।

তিনি আরো জানান, এসব টাকা মহাস্থান মাজার মসজিদের অ্যাকাউন্টে অগ্রণী ব্যাংক মহাস্থান শাখায় জমা রাখা হয়। দানের টাকাগুলো মহাস্থান মাজার উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হয়।