• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

গায়ের রঙ নিয়ে স্বামীর খোঁটা....

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৩  

গত পাঁচ মাস আগে আড়াই লাখ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে জান্নাতের বিয়ে হয় সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে জান্নাতকে অপছন্দ করতে থাকেন স্বামী। জান্নাতের গায়ের রঙ ও খাটো নিয়ে প্রায়ই খোঁটা দিতেন তাকে। এতে ক্ষোভে, অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন জান্নাত। সকালে স্বামীর বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে উড়না বেঁধে ফাঁস দেন তিনি।  
খবর পেয়ে শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে জান্নাতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতি গ্রামের আন্দারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সালাউদ্দিন মো. আবুল বাসারের ছেলে এবং তিনি পেশায় একজন অটোচালক। নিহত জান্নাত আক্তার (১৯) একই গ্রামের কাজী পাড়ার বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলামের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে সালাউদ্দিন পলাতক রয়েছেন।

প্রতিবেশীরা জানান, এ বাড়িতে জান্নাত ও তার স্বামী বসবাস করতেন। জান্নাতের শ্বশুর-শাশুড়ি বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকার একটি মিলে কাজ করেন। বিয়ের পর থেকে জান্নাতকে অপছন্দ করেন সালাহ উদ্দিন। কারণ তার গায়ের রঙ কালো, দেখতে খাটো। এ জন্য তাকে প্রায়ই অবহেলা-অবজ্ঞা ও গালাগালি করতেন। এ লজ্জা ও ক্ষোভে জান্নাত আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।       

নিহত জান্নাতের চাচা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিয়ের আগে বরপক্ষ মেয়ে দেখে পছন্দ করেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী আড়াই লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছে। ওই টাকার লোভে মেয়ে কালো জেনেই বিয়েতে রাজি হন ছেলে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ওই ছেলে জান্নাতকে অপছন্দ করা শুরু করেন। এ নিয়ে প্রায়ই জান্নাতের ওপর নির্যাতন চালাতেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসেন জান্নাত। সকালে খবর পাই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তারা আমার ভাতিজিকে মেরে ফেলেছেন। আমরা এ হত্যার বিচার দাবি করছি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার এসআই কৃষ্ণ মোহন বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া বলেন, স্বামীর বাড়ি থেকে জান্নাতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।