• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

ক’দিন পরেই বিয়ে, ছিনতাই করে সেরেছেন কেনাকাটা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২৩  

নুরুল হক সজীব, মো. মহিউদ্দিন ও মো. রায়হান। ছিনতাইয়ের একটি মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছিলেন তিনজন। সেখানে বসেই আরেকটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন তারা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী- অবস্থান নেন নগরের পাহাড়তলীতে। ব্যাংক থেকে পেনশনের টাকা তুলে বের হতেই ছিনিয়ে নিয়ে যান অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তার প্রায় ১৫ লাখ টাকা। আর মাত্র ক’দিন পর বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা রায়হানের। ছিনতাইয়ের টাকা দিয়ে তিনি সেরেছেন বিয়ের কেনাকাটা। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (বন্দর-পশ্চিম) মো. আলী হোসেন। এর আগে, শনিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি মো. আলী হোসেন বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর পেনশনের টাকা তুলতে স্ত্রীকে নিয়ে নগরের পাহাড়তলীতে ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখায় যান অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তা। পেনশনের ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে তিনি একটি বাজারের ব্যাগে নেন। ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বের হতেই একটি অটোরিকশায় তিনজন এসে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন তিনি।

মামলার পর ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইয়ে জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর মহিউদ্দিনের অবস্থান শনাক্ত করে প্রথমে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে সজীব ও রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সদস্য বলে জানান। তাদের দলনেতা সজীব। ছিনতাইয়ের জন্য অটোরিকশাটিও সজীব নিয়ে এসেছিলেন। এক বছর আগেও ছিনতাইয়ের অপরাধে তাদের আমরা গ্রেফতার করেছি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে আবার তারা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন এবং পরের দিন এ ঘটনা ঘটান। তাদের মধ্যে রায়হানের বিয়ে ঠিক হয় আগামী বৃহস্পতিবার। ছিনতাইয়ের টাকা দিয়ে তিনি বিয়ের কেনাকাটাও করেছেন। সজীবের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটটি, রায়হানের বিরুদ্ধে চারটি এবং মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোলায় ছয়টি মামলা রয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।