• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতি, ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২০  

চট্টগ্রাম শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১২ গুণ বেশি দামে বৈদ্যুতিক পাম্প কেনার মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান প্রকৌশলীসহ (উৎপাদন) ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স পাওয়ার টেক ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল আলীম, শিকলবাহা ১৫০ মে. ওয়াট পিকিং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী ভুবন বিজয় দত্ত, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড, রাজশাহী বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী (উৎপাদন) এ এইচ এম কামাল, নকশা ও পরিদর্শন পরিদফতর-১ এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তোফাজ্জেল হোসেন, পিডিবির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবু ইউসুফ এবং চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-ব্যবস্থাপক (নির্বাহী প্রকৌশলী) মিজানুর রহমান।

দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিকলবাহা ১৫০ মে. ওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্টটির ইপিসি ঠিকাদার ছিল মেসার্স সিনোহাইড্রো করপোরেশন, চীন এবং জিটি মেইন ইকুইপমেন্টের (টারবাইন, জেনারেটর, কম্প্রেসার) প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হলো জার্মানির প্রতিষ্ঠান সিমেন্স। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ দুটি বৈদ্যুতিক পাম্পের। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ক্রয় পরিদফতর পাম্প ক্রয়ের জন্য ২০১৬ সালে সাত সদস্যের একটি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠন করে।

ওই কমিটি এমনভাবে শর্ত দেয়, যাতে পাওয়ারটেক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ ঠিকাদারি কাজে অংশ নিতে না পারে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানই বৈদ্যুতিক বিশেষ পাম্পগুলো সরবরাহের কাজ পায়। পরে ভারত থেকে আসে বিশেষ পাম্পগুলো।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৩ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যে পিডিবির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন হলেও সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মাত্র ৩০ হাজার ১৭ ডলার ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী শাখায় এলসির মাধ্যমে ভারতে পাঠায়। এতে ঠিকাদারের লাভ ২০ শতাংশ ধরা হলেও পাম্পের খরচ দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ২১ মার্কিন ডলার। বাকি ৩ লাখ ২৮ হাজার ৯৭৯ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত দাম দেখিয়ে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।