• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবেদন ১৭ অক্টোবর

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

বঙ্গবাজারে অগ্নিনির্বাপণের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। সে কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডের সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল বংশাল থানার এসআই ইস্রাফিল হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে আগুন নেভানোর জন্য বংশাল থানার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরসহ অন্যান্য ফায়ার সার্ভিসের অনেকগুলো ইউনিট কাজ করে। একপর্যায়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে লাগা আগুন আশপাশের মার্কেটসহ বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এনেক্সকো ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এমন ছিল যে, অনেক প্রচেষ্টার পরও ফায়ার সার্ভিস পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না।

এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ থেকে ৩০০ জন দুষ্কৃতিকারী দেশীয় অস্ত্রসহ বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটের বিপরীত পাশে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তারা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেন।

এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা এডিসির (চকবাজার জোন) নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। বাদী ও তার সহযোগীরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে দৃষ্কৃতকারীদের প্রতিহতের চেষ্টা করলে একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা তাদের সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। তারা লোহার রড ও লাটিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে বাদী গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলে থাকা এসআই (নিরস্ত্র) মো. রুবেল খানও জখম হন।